নাটোরের লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুকে গুলি করে হত্যা মামলায় আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিকালে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- লালপুর উপজেলার শিবপুর (খাঁপাড়া) এলাকার মো. কামরুলের ছেলে মো. রায়হান এবং একই এলাকার মো. হাসান আলীর ছেলে মো. তামিম। এর আগে, গত বুধবার দুপুরে নিহত মঞ্জুর বড় ভাই মাসুদ রানা ১৬ জনকে আসামি করে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নিহত মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু উপজেলার বাহাদিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এ বিষয়ে লালপুর থানার কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, এ ঘটনার পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আরও দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে লালপুর উপজেলার আজিমনগর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন রবিউল ইসলাম কনফেকশনারি দোকানের সামনে বসেছিলেন মঞ্জু। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে ৪-৫ জন এসে মাথায় এবং পেটে গুলি করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মঞ্জুর মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে গোপালপুর মুক্তার জেনারেল হাাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের ভাই ১৬ জনকে আসামি করে লালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গত বুধবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে এ হত্যা মামলায় ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লালপুর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিরুল ইসলাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন মঞ্জু।