ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ওষুধের দোকান বন্ধ রেখে নওগাঁয় ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

ওষুধের দোকান বন্ধ রেখে নওগাঁয় ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

নওগাঁয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় নওগাঁ সদর হাসপাতাল মোড়ে বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপুর সভাপতিত্বে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়। এদিকে সকাল থেকে ওষুধের দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করায় ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীর স্বজনরা।

দোকান বন্ধ পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপু বলেন- চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রোডাস্টস ও ফুড সাপ্লিমেন্টস লিখে থাকেন। ওষুধ ব্যবসায়ীরা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ বিপণন করে। ওষুধ ব্যবসায়ীর কোনো অপরাধ না থাকলেও আমাদের দুইজন সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওষুধ প্রশাসন মামলা করে। গত ১৬ এপ্রিল রাশেদুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। অপরজন আবুল কালাম আজাদ মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তিনি আরো বলেন- মামলায় আসামির ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ বছর কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ওষুধ ও কসমেটিক্স আইন ২০২৩-এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানিমূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে অবিলম্বে আরও বৃহৎ আন্দোলন শুরু করা হবে। ওষুধ ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বলেন- আমরা মানবসেবার ব্রত নিয়ে এ পেশায় এসেছি। কিন্তু ওষুধ প্রশাসন আমাদের সঙ্গে অবিচার করছে। অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে আমাদের সদস্যদের হয়রানি করা হচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমেছি। এ কঠোর আইন সংশোধনের দাবি জানান তারা। নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লার বাসিন্দা মুনি আরা বলেন- এক বছরের ছেলে মুহিত গত কয়েক দিন বমি ও পাতলা পায়খানা করছে। হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর ভর্তি করে নেয়। একটি ব্যবস্থাপত্রে চার পদের ওষুধ লিখে দেয়।

আধা ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন দোকানে গিয়েও ওষুধ পাওয়া যায়নি। পরে পরিচিত এক মাধ্যম দিয়ে ওষুধগুলো সংগ্রহ করা হয়। ওষুধের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি হাটের বাসিন্দা নিমাই চন্দ্র বলেন- গত কয়েক দিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছে। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে দোকানে এসে দেখি সবগুলো বন্ধ রয়েছে। আমার মতো অনেকেই ওষুধ নিতে এসে দোকান বন্ধ পেয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আমরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই। বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত