সারা দিন দাবদাহে অস্থির পঞ্চগড়বাসী। কিন্তু দিনে তাপমাত্রা ৩৫-৩৮ ডিগ্রির মধ্যে রেকর্ড হলেও সন্ধ্যা হলেই মিলিয়ে যায় সেই অসহনীয় গরম। সন্ধ্যার পর হিমালয় পর্বত হতে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় হারিয়ে যায় দিনের গরমের লেশ। রাত গভীর হতে থাকলে ফ্যান বন্ধ করে পঞ্চগড়বাসীর রাত কাটে কাঁথা গায়ে জড়িয়ে। গত শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলমান পরিস্থিতিতে দেশের কিছু জেলায় ৩৮-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা রেকর্ডে জনজীবনে অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পঞ্চগড়ে দিনভর প্রখর রোদ ও ভ্যাপসা গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যার পর থেকে জেলাজুড়ে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে মৃদু ও শীতল হাওয়া বইতে থাকে। এতে করে দিনের তীব্র তাপপ্রবাহ কমে গিয়ে রাতে শীতল পরিবেশে কেটে যায় দিনের অসহনীয় ক্লান্তি। আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশের অন্যান্য জেলার সঙ্গে এ জেলার তাপমাত্রায় কিছুটা তারতম্য রয়েছে। উত্তরের জেলা পঞ্চগড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটস্থ স্থানে হওয়ায় হিমালয়ের হিম শীতল হাওয়া এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যায়। তাই এখানে দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা কমে যায়। সন্ধ্যার পর রাত বাড়তে থাকলে শীতল পরিবেশ বিরাজ করে। জেলার তেঁতুলিয়ার মমিনপাড়া, তেলিপাড়া, সাহেবজোতসহ বেশ কিছু গ্রামের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, দিনের বেলা প্রখর রোদের কারণে প্রচণ্ড গরম হয়। কিন্তু দিনে অসহ্য গরম হলেও রাতের বেলায় ঠান্ডা অনুভত হয়। রাতে আর ফ্যান চালাতে হয় না। শেষ রাতে কাঁথা বা কম্বল নিতে হয়েছে। জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, এক সপ্তাহ ধরে জেলায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৮ ডিগ্রির মধ্যে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ১৬ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। দিনের বেলা বাতাসের আর্দ্রতা ২১ থেকে ৬০ শতাংশ হওয়ায় কখনও হালকা গরম আবার কখনও বেশি অর্থাৎ ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়। যার কারণে সারা দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে উত্তরের এ জেলার আবহাওয়ার অবস্থা কিছুটা ভিন্ন। দিনে উত্তপ্ত গরম হলেও রাতের বেলায় শীতল হাওয়া বয়ে যায়। এ কারণে অনেকে এখনো ফ্যান বন্ধ রেখে পাতলা কাঁথা গায়ে জড়িয়ে রাত যাপন করছেন।