সাতক্ষীরার আম নিরাপদ প্রক্রিয়ায় বাজারজাত করার জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করে আম ক্যালেন্ডার (সূচি) প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে ‘নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এই আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে নির্ধারিত সময়ে আম পাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সূচি অনুযায়ী, আগামী ৯ মে থেকে গোপালভোগ, ১১ মে গোবিন্দভোগ, ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ন্যাংড়া এবং ১০ জুন আম্রপালি জাতের আম পাড়া যাবে। ১০ জুনের আগে আম্রপালি আম সংগ্রহ করা যাবে না। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আমচাষি ও ব্যবসায়ীসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, সাতক্ষীরার হিমসাগর, ল্যাংড়া ও গোবিন্দভোগ আমের সুখ্যাতি রয়েছে সারা দেশব্যাপী। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সাতক্ষীরার আম রপ্তানি করা হয় ইউরোপসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় অপরিপক্ব আম পেড়ে রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। গত ছয় দিনে জেলার কালীগঞ্জ, দেবহাটা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪৪ হাজার কেজি আম জব্দ করে বিনষ্ট করেছে স্থানীয় প্রশাসন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আকাশ জানান, সাতক্ষীরার আমের দেশব্যাপী সুনাম রয়েছে। কিন্তু একটি অসাধু চক্র রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে অপরিপক্ব আম পাকিয়ে তা বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। জেলার আমের সুনাম রক্ষায় এবং ভেজাল খাদ্য বাজারে বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া জেলা প্রশাসন নির্ধারিত তারিখের আগে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত না করার জন্য ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। এছাড়া আমে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল হতে ৪ মে আট দিনে পৃথক অভিযানে জেলার কালীগঞ্জ, দেবহাটা, সদর ও আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪৪ হাজার কেজি বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো অপরিপক্ব গোবিন্দভোগ আম জব্দ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পরে জব্দকৃত এসব আম জনসম্মুখে ধ্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।