ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দেখতে সমুদ্রের ঢেউ মনে হলেও এটি মহাসড়ক

দেখতে সমুদ্রের ঢেউ মনে হলেও এটি মহাসড়ক

রাস্তায় এমন ঢেউ খেলা সচরাচর চোখে পড়বে না। হঠাৎ দেখলে সমুদ্রের ঢেউ বা তরঙ্গ চোখের সামনে ভেসে উঠবে। তবে এটি কিন্তু কোনো সমুদ্র নয়। ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক এটি। মহাসড়কের ব্যস্ততম বিষয়খালী বাজার এখন যেন মৃত্যু ফাঁদ। প্রচণ্ড গরমে ও দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ সড়কের বিষয়খালী এলাকা এখন মত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ছয় লেন সড়কের কাজ শুরু হবে বলে সড়কের পাশের বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে প্রখর রোদ ও প্রচণ্ড তাপমাত্রায় রাস্তার পিচ সব গলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সড়কের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে প্রশস্ত মহাসড়কের মাঝখানে রেললাইনের মতো চিত্র তৈরি হয়েছে। ফলে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের বিষয়খালী বটতলা নামক স্থান থেকে রাকিবের চায়ের দোকান পর্যন্ত ১২০০ ফিট রাস্তা ফুলে উঠে রাস্তার মাঝখানে উঁচু ঢিবির সৃষ্টি হয়েছে। যেটি অনেকটাই মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে রাস্তার এ বেহাল দশা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে বিষয়খালী গ্রামের সবুজ জানান, সড়কটির এতটাই বেহাল অবস্থা যে, প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। মেঠো সড়কে যেমন গরুর গাড়ি চলতে চলতে পয়ান বা লম্বা গর্ত তৈরি হয়, ঠিক গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের অবস্থাও তেমন হয়েছে। স্থানীয় মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশীদ আলম জানান, এই সড়কে চলাচলকারী হাজারো পরিবহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিদিনই অকেজো হয়ে পড়ছে বাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবহন। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। বিষয়খালী বাজারের চা বিক্রেতা হাসান জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২০-২৫টি মোটরসাইকেল এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে। রাস্তাটি মেরামত খুবই জরুরি। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল করিম জানান, ঝিনাইদহ-যশোর সড়কটি উইকেয়ার সেকশন (ফেজ-১) ছয় লেন প্রকল্পের অধীনে হস্তান্তর করার কারণে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের এখন আর করার কিছু নেই। এখন সড়কর সব সমস্যা প্রকল্পের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত