খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

কালবৈশাখির ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিনের ঘরটি লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ায় ক্লাস চলছে খোলা আকাশের নিচে। নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় হাসিনা শাহিদ মাধ্যমিক মডেল একাডেমিতে এমন অবস্থা দেখা গেছে। পাঠদান কার্যক্রমের জন্য ৪০ হাত লম্বা যে টিনের ঘরটি ছিল তা কালবৈশাখির ঝড়ে ভেঙে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের কিছু ক্লাস চলে খোলা আকাশে নিচেই। আর কোনো ঘর না থাকায় খোলা আকাশের নিচেই চলছে পাঠদান। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে দুর্যোগকালীন সময়ে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি একটি একাডেমিক ঘর নির্মাণের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ৫ বান্ডিল অর্থাৎ ৮ ফুট লম্বা ৪০ পিছ টিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। টিন পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কিছু টাকাও বরাদ্দ ছেয়েছেন একাডেমির প্রধান শিক্ষক। কেন্দুয়ার উপজেলার ৪নং গড়াডোবা ইউনিয়নের গাড়াউন্দ মাস্টার বাড়ি প্রাঙ্গণে ২০১০ সালে স্থাপিত হয় হাসিনা শাহিদ মডেল একাডেমি। ২০১৮ সালে স্বাকৃতি পায় নবম ও দশম শ্রেণির। বর্তমানে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৭৩ জন। শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ১২ জন। ৫টি টিনের ঘর থাকলেও গত রোববারের কালবৈশাখি ঝড়ে প্রায় চল্লিশ হাত লম্বা টিনের বড় ঘরটি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বাকি যে ঘরগুলো আছে সেগুলোও ঝড়ে খুবই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। একাডেমির প্রধান শিক্ষক এম এ সালাম জানান, পিছিয়ে থাকা এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে আমরা জমি দান করে মা-বাবার নামে হাসিনা শাহিদ মডেল একাডেমি স্থাপন করেছিলাম। এখন মাধ্যমিক মডেল একাডেমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এবং উপস্থিতিও সন্তোষজনক। কিন্তু একাডেমিক পাকা ভবন না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান কার্যক্রম নিয়ে খুবই অসুবিধায় থাকতে হয়। তিনি সরকারের কাছে একটি পাকা ভবন নির্মাণের দাবি জানান। এদিকে গত সোমবার সকালে ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া স্কুল ঘরটি দেখতে যান কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে একটি পাকা ভবন খুবই দরকার। আমরা এ নিয়ে উপর মহলকে অবিহিত করব। গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান সোহাগ বলেন, এই কেন্দুয়া উপজেলায় এমনও বিদ্যালয় আছে যেখানে ৩-৪টি পাকা ভবন নির্মিত হয়েছে।