ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সোনালুর হলুদাভ উষ্ণ অভ্যর্থনায় সেজেছে তিতাসের প্রকৃতি

সোনালুর হলুদাভ উষ্ণ অভ্যর্থনায় সেজেছে তিতাসের প্রকৃতি

প্রকৃতিতে রাজত্ব করে বিলীন হচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার লাল আভা। প্রাণ ফিরে পাচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার গাছে গাছে সবুজপত্র পল্লবী। তাই বলে থেমে নেই প্রকৃতির ফুল ফোটা। সোনালুর হলুদাভ উষ্ণ অভ্যর্থনায় প্রকৃতি এখন মাতোয়ারা। কুমিল্লার তিতাসের বিভিন্ন এলাকায় এখন সোনালুর হলুদ রঙের সমারোহ। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বসতবাড়িতে বিশেষ করে রাস্তা কিংবা পুকুরপাড়ে সোনালু গ্রাছের অপরূপ সৌন্দর্য পথিককে মোহিত করে যাচ্ছে। জগতপুর ইউনিয়নের জগতপুর সাধনা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুর পাড়ের একাধিক সোনালু গাছের ফুলগুলো পাখা মেলে ছড়িয়ে ঝুলে আছে শত শত ফুল। একই অবস্থা নারান্দিয়া ইউনিয়নের খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বাড়ির আঙিনা। তবে বলরামপুর ইউনিয়নের গাজীপুর খান সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের সোনালু গাছের থোকা থোকা ফুলগুলো পরিবেশকে রাঙিয়ে তুলেছে। সোনালি ঝরনা ধারার ফুল সোনালু। বাংলাদেশের এক এক অঞ্চলে এই ফুলটির এক এক নাম। কোথাও, সোনালু, কোথাও বা অলানু, কর্ণিকা, সন্দাল, বান্দর লাঠি, সোনাইল। দীর্ঘ মঞ্জরিদণ্ডে ঝুলে থাকা ফুলের পাপড়ি সংখ্যা পাঁচটি। সবুজ রঙের একমাত্র গর্ভকেশরটি কাণ্ডের মতো বাঁকানো। এ গাছের ফল বেশ লম্বা, লাঠির মতো। গাঢ় সবুজ রঙের পাতাগুলো যৌগিক, মসৃণ ও ডিম্বাকৃতির। ফুল আড়াই থেকে তিন ইঞ্চি পর্যন্ত চওড়া হয়। ফুল ফোটার পর থেকে এটি সোনার চেইনের মতো শাখায় ও কাণ্ডে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। তিতাস উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. কাউছার আহমেদ জানান, কিশোরীর কানের দুলের মতো বৈশাখী হাওয়ায় দুলতে থাকে হলুদ- সোনালি থোকা থোকা ফুল। গ্রীষ্মের প্রকৃতিতে প্রাণের সজীবতা নিয়ে ফোটে সোনালু। কারো সাধ্য নেই দৃষ্টি না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার। উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফ আব্দুল্লাহ মুস্তাফিন বলেন, সোনালু ঔষধি বৃক্ষের তালিকাভুক্ত। বিশেষ করে এর ফল বাত, বমি ও রক্তস্রাব প্রতিরোধে সাহায্য করে। সোনালুর ফল পাকতে দীর্ঘ সময় লাগে। পেকে ফল মাটিতে পড়ে সেখান থেকে বীজ ছড়িয়ে বংশ বিস্তার ঘটায়। কলমের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার সম্ভব হয় না। তবে গাছের শেকড় থেকেও বংশ বিস্তার ঘটে থাকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত