সন্ধ্যা নদীর গ্রাসে বিলীন হচ্ছে বাজার-ফেরিঘাট

প্রকাশ : ১০ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার আমড়াজুড়ি ইউনিয়নে সন্ধ্যা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বাজার, ফেরিঘাট ও সড়ক। এরইমধ্যে বাজারের কমপক্ষে ১০-১৫টি দোকান ভাঙনের শিকার হয়েছে। ফলে চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। ফেরিঘাট বাজার কমিটির সভাপতি কায়েস হাওলাদার, ব্যবসায়ী ইকবাল তালুকদার ও জামে মসজিদের খতিব মাওলানা গাজী আনোয়ার হোসেনসহ ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, তিন নদীর মোহনায় আমরাজুড়ি ফেরিঘাট হওয়ায় এ ভাঙনের মুখে পড়ছে এলাকাবাসী। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভাঙন থামানো যাচ্ছে না। শিগগিরই যদি বেড়িবাঁধ না করা হয়, তাহলে আমরাজুড়ি ইউনিয়নের বিরাট একটি অংশসহ কাউখালী-শেখেরহাট সংযোগ সড়কটি বিলীন হয়ে যাবে এবং ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার ফলে আরো অনেক দোকান, বাড়িঘর, রাস্তা, মসজিদসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। নদীভাঙনের কারণে অনেকবার ফেরিঘাট স্থানান্তর করতে হয়েছে। এই ঘাট থেকে পিরোজপুর থেকে গড়িয়ার হয়ে বরিশাল-ঢাকা-বানারিপাড়া-নেছারাবাদণ্ডকাউখালী-পিরোজপুর-বাগেরহাটসহ খুলনা যাতায়াত করে। আমড়াজুড়ি বাজারের একটি খাবারের হোটেলের মালিক ইকবাল হোসেন বলেন, আমড়াজুড়ি ফেরিঘাট এলাকা সন্ধ্যা ও গাবখান খালের মোহনা হওয়ায় প্রতিবছর নদীভাঙনের ঘটনা ঘটছে। কয়েক বছর ধরে ভাঙন বেশি হচ্ছে। ১ বছরে নদীভাঙনের কারণে আমার দোকান পাঁচবার সরিয়ে নিতে হয়েছে। আমড়াজুড়ি ফেরিঘাট বাজারের রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী কাওসার জামিল বলেন, নদীভাঙনের কারণে আমড়াজুড়ি ফেরিঘাট কয়েক মাস পরপর সরিয়ে নিতে হয়। দোকানপাট সরিয়ে নিতে হচ্ছে। জরুরিভিত্তিতে নদীভাঙন রোধ করা না গেলে বাজার, সড়ক ও ফেরিঘাট নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে আমরাজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, একাধিকবার জিওব্যাগ ফেলার পরেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। স্থানীয় সংসদ সদস্যকে বিষয়টি জানানোর পর তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে মসজিদসহ প্রায় ২৫-৩০টি দোকান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এসব স্থাপনা যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে বাজার ও ফেরিঘাট রক্ষা করা সম্ভব হবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। আশা করি, শিগগিরই এখানে স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।