অনলাইনে মোমো বিক্রি করে স্বাবলম্বী

প্রকাশ : ১০ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

আগ্রহ ছিল নিজে কিছু করার। আয় করবেন নিজে কাজ করেই। কিন্তু কী করবেন, কোথা থেকে শুরু করবেন, কিছুই বুঝতে পারেন না। পরবর্তীতে ২০২২ সালে শখের বসে অনলাইন পেজ খুলে মোমো বিক্রি শুরু করেন কলেজপড়ুয়া উম্মে সালমা আজিজী সিফাত। এরপর মাত্র এক বছরে ২ লাখ টাকার মোমো বিক্রি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। অনলাইনে তিনি পরিচিত হয়েছেন সেরা মোমো বিক্রেতা হিসেবে। উম্মে সালমা আজিজী সিফাত নোয়াখালী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী কলেজ রোডের বাসিন্দা এমদাদ উল্ল্যাহ আজিজীর মেয়ে। জানা যায়, ২০২২ সালের শুরুতে ঘরে বসে স্বাস্থ্যসম্মত ও মজাদার মোমো তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করবেন বলে ঠিক করেন উম্মে সালমা আজিজী সিফাত। ফেসবুকে শুরু করেন প্রচারের কাজ। অনলাইন ব্যবসার নাম দেন ‘ডাম্পলিং কিচেন’। প্রথমদিকে খাবারটি নোয়াখালীতে অপরিচিত হলেও আস্তে আস্তে পরিচিত হয়ে ওঠেন। চিকেন মোমো, চিলি ওয়েল মোমো, চিলি গারলিক মোমো, নাগা মোমো, ক্রিস্পি ফ্রাই মোমো, ফ্রাইড মোমো, সেচুয়ান মোমো, ডাম্পলিং সুপ ক্লিয়ার, থাই সুপ মোমো ও সবজি মোমো এই আট রকম মোমো দিয়ে যাত্রা শুরু হয় সালমার। এক বছরে তিনি ২ লাখ টাকার মোমো বিক্রি করেন। উম্মে সালমা আজিজী সিফাত বলেন, শখের বশে মোমো বানিয়ে আমার মাকে দেখালাম। মা বলল, এসব খাবার মানুষ খাবে না। নোয়াখালীর মানুষ এসবে পরিচিত না। আমি মাকে বললাম, খাবার স্বাদ হলে সবারই ভালো লাগবে এবং সেল হবে। তারপর থেকে মায়ের সহযোগিতা নিয়ে ডাম্পলিং কিচেন শুরু করি। গত এক বছরে আমি ২ লাখ টাকার মোমো বিক্রি করেছি। নিজের হাতখরচ থেকে শুরু করে নিজের অনেক শখ পূরণ হচ্ছে আমার আয় থেকে। ডাম্পলিং কিচেনের মোমোর নিয়মিত ক্রেতা শিরিন আক্তার বলেন, ডাম্পলিং কিচেনের মোমো একবার খেলে বারবার খেতে মন চায়। এখানের নাস্তাগুলোও অনেক ভালো হয়। স্বাদ অসাধারণ হয় বলেই আমরা নিয়মিত কাস্টমার। সালমার ছোট ভাই হামিদ আজিজী বলেন, আমি যখন ফ্রি থাকি, তখন আপুর খাবারগুলো ডেলিভারি দিয়ে আসি। দেখা যায়, যারা একবার অর্ডার করেছে তারাই বারবার অর্ডার করছে। এতে ধারণা করা যায়, খাবারগুলো মানুষের পছন্দ হচ্ছে। নোয়াখালী নারী অধিকার জোটের আহ্বায়ক লায়লা পারভিন বলেন, বর্তমানে নারীরা ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন। এটি খুবই ভালো দিক। এভাবেই নারীরা আরো এগিয়ে আসুক। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর নোয়াখালীর উপ-পরিচালক কামরুন নাহার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন গ্রাম হবে শহর। শুধু শহরের নয়, গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাক স্মার্ট বাংলাদেশের সুবিধা। উম্মে সালমা আজিজী সিফাতের মতো নারীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে ব্যবসা করছেন, সেটাই আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবিক উদাহরণ।