মাহফিলের কমিটি নিয়ে পটুয়াখালীর দুমকিতে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায়
আহত মোশারেফ মুন্সি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পরে ওই মামলার আসামি বাবা আ. ছত্তার হাওলাদার ও ছেলে মো. সালাউদ্দিন বাপ্পীকে র্যাব-৮ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান বলেন, যৌথ অভিযানে তাদের আটক করে দুমকি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর আসামীদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পটুয়াখালী জেলা সদর থানাধীন পুরাতন ফেরিঘাটের মাঝগ্রাম এলাকার নিজ বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, উপজেলার পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের মৃত. আব্দুল গনি মাওলানার ছেলে মাওলানা মো. নেছার স্থানীয় একটি মাদ্রাসা মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেন। কিন্তু সেই মাহফিলের কমিটিতে মুন্সি বাড়ির লোকজনের নাম না রাখায় নেছার মাওলানা পক্ষ ও সোবাহান মুন্সি পক্ষের মাঝে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরে ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় মুন্সির বাজারে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, রামদা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হলে দুমকি থানায় মামলা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি থাকা অবস্থায় আহত মোশারেফ মুন্সি গত ৭ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যায়। সর্বশেষ, মোশারেফ মুন্সির মৃত্যুতে গত ৮ মে ৩০২ পেনাল কোড সংযোজিত হয় এবং আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়।