কাউখালীতে নড়বড়ে সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

প্রকাশ : ১১ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

পিরোজপুরের কাউখালীতে আমরাজুরী ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জব্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দত্তেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের খালের ওপর সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সেতুর কংক্রিটের পাটাতন ভেঙে পড়ছে। এর মধ্য দিয়েই লোকজন হেঁটে বা সাইকেল নিয়ে পার হচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হয়ে স্কুলে যাচ্ছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পেরিয়ে যাতায়াত করছে। এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুগুলো সংস্কার না করায় দিন দিন সেতুগুলো ভেঙে পড়ে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনাসহ জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে। দত্তেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার বলেন, আমি একা সেতু পেরিয়ে যেতে ভয় পাই, আমার বাবা-মা আমাকে বিদ্যালয় দিয়ে আসে। জব্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সিকদার বলেন, আমি দীর্ঘদিন এই বিদ্যালয়ে আছি। সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হচ্ছে। অনেক সময় আমাদের নিজেদের ছাত্রছাত্রীদের সাঁকো পারাপারে সহযোগিতা করতে হয়। গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গায়ত্রী মুখোপাধ্যায় বলেন, জোয়ারের সময় খালে পানি বেশি আসায় আমরা ছাত্রছাত্রী নিয়ে টেনশনে থাকি। তখন সেতু পারাপারে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। অভিভাবক অনিল হালদার ও আব্দুল জব্বার বলেন, আমাদের কোমলমতি ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় লাগছে। কীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে বিদ্যালয় যাবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের সামনের সাঁকোগুলো সংস্কার করা দরকার। কারণ অনেক ছাত্রছাত্রীরা সাঁতার জানে না। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। আমরাজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলোর তালিকা তৈরি করে উপজেলা পরিষদের সমন্বয়ে মিটিংয়ে উপস্থাপন করব এবং ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোর তালিকা পেলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।