মেহেরপুরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অপরিপক্ব লিচু

প্রকাশ : ১১ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

মেহেরপুরে খরা আর দাবদাহের কারণে দেরিতে পাকতে শুরু করেছে লিচু। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এ বছর লিচুর শাঁস ও স্বাদ কম। তবুও লাভের আশায় অপরিপক্ব লিচু বিক্রি শুরু করেছেন ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা। মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। শুরুতে ৬০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। এসব বাগানে আঁটি লিচু, মোজাফ্ফর বোম্বাই, চিলি বোম্বাই, আতা বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু উৎপাদন হয়ে থাকে। লাভজনক হওয়ায় এ জেলায় লিচুর আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মেহেরপুরের লিচু রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। ক্রেতারা বলেছেন অন্য বছরের তুলনায় লিচুর শাঁস কম এবং আকারে ছোট হলেও দাম অনেক বেশি। বাগান মালিকদের দাবি, তীব্র দাবদাহে লিচু ঝরে যাচ্ছে, তাই বাধ্য হয়ে পরিপক্ব হওয়ার আগেই লিচু বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। ফলে লিচুর আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভোক্তারা। আর কৃষি বিভাগ বলছে লিচুর গুণগতমান ঠিক রাখার জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ পর লিচু সংগ্রহের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বাগান মালিকদের। লিচু বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে একটু দেরি করেই গাছে মুকুল এসেছিল তাও অনেক কম। উপরন্তু প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে ঝরে গেছে অনেক লিচু। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। কৃষকরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণেই পরিপক্ব হওয়ার আগেই গাছ থেকে লিচু পেড়ে ফেলতে হচ্ছে। কারণ গাছ থেকে লিচু ঝরে পড়ছে। গাছে লিচু ফেটে যাচ্ছে। লিচু ব্যবসায়ী হুসাইন ও মহিবুল বলেন, প্রতি পন হিসেবে লিচু বিক্রি করছি ২৮০ টাকা দরে। লিচুর রং না হলেও পেকে গছে। এর চেয়ে বেশি পাকাতে গেলে আমরা পথে বসে যাব। লিচুর গুটি দেখেই সব টাকা পরিশোধ করে বাগান কিনতে হয়েছে। লিচু ক্রেতা জুলফিকার আলী বলেন, বাজারে নতুন ফল এসেছে। তাই বাড়ির ছেলে-মেয়েদের বায়না মেটাতে কিনতে হচ্ছে। যদিও একটু স্বাদ কম। আরও কিছুদিন গাছে থাকলে লিচু পুষ্ট হত, স্বাদও পাওয়া যেত। ক্রেতা আমেনা খাতুন বলেন, বাজারে প্রকারভেদে লিচুর দাম এবার অনেক বেশি। প্রতি ১০০ লিচুর দাম হাঁকা হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। আরও বেশি নেওয়ার ইচ্ছে ছিল তবে টক ও তুলনামূলক আঁটির আকার বড়, রয়েছে পোকার আক্রমণও তাই বেশি কেনা হয়নি। লিচু চাষি ঝাউবাড়িয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, তার বাগানে শতাধিক লিচু গাছ থাকলেও ফল এসেছে অর্ধেক গাছে। আবার গত বছরের তুলনায় সেই গাছগুলোতে লিচু দাঁড়িয়েছে কম। আর রৌদ্রের তাপে গাছ থেকে লিচু একাই ঝরে পড়ছে।