ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় অবাধে বাগদা রেণু শিকার
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে অবাধে অবৈধ বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেণু শিকারের মহোৎসব চলছে। শিকারিদের নিষিদ্ধ জালে বাগদা-গলদার রেণুর সঙ্গে উঠে আসছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণুও। এর ফলে প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রজাতির কোটি কোটি মাছের রেণু ধ্বংস হচ্ছে। মূলত মৎস্য বিভাগের তেমন অভিযান না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে শিকারিরা। ভোলা সদরের তুলাতুলি মেঘনা নদীতে বাগদা ও গলদা রেণু শিকারি মো. সালাউদ্দিন, মো. ইব্রাহীম ও মো. আলম জানান, তারা মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকার করেন। প্রতি বছর এ সিজনে তারা নদীতে বাগদা ও গলদার রেণু শিকার করেন। এটি শিকারের কাজে ছোট মশারি ও নেট বেহুন্দী জাল ব্যবহার করেন। প্রতিদিন তারা একেক জন ৮০০-১০০০ পিস বা তারাও অধিক বাগদা ও গলদার রেণু শিকার করে থাকেন। প্রতি পিস রেণু তারা ব্যাপারীদের কাছে দেড় টাকা করে পিস বিক্রি করে থাকেন। সরেজমিন দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি পয়েন্টের মেঘনা নদীতে দলবেঁধে অবাধে অবৈধ বাগদা ও গলদার রেণু শিকারে ব্যস্ত জেলেরা। নিষিদ্ধ মশারি ও নেট বেহুন্দী জাল দিয়ে নদী থেকে তারা শিকার করছেন বাগদা ও গলদার রেণু। আর চিংড়ির রেণুর সঙ্গে ওই জালে উঠে আসছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণুও। শিকারিরা বাগদা ও গলদার রেণু বেছে বেছে পাত্রে রেখে ফেলে দিচ্ছেন অন্যান্য প্রজাতির মাছের রেণুগুলোকে। এতে করে প্রতিদিনই বাগদা ও গলদা রেণুর সঙ্গে ধ্বংস হচ্ছে, অন্যান্য প্রজাতির কোটি কোটি মাছের রেণু। শুধু তুলাতুলি নয়, বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলাসহ জেলার সাত উপজেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিনই বাগদা-গলদা রেণু শিকারের মহোৎসব চলছে। ভোলা সদরের তুলাতুলির মো. সুমন, মো. মনির ও লাইজু বেগম জানান, তাদের জালে বাগদা ও গলদার রেণুর সঙ্গে অন্যান্য মাছের রেণুও উঠে আসে। তারা বাগদা ও গলদার রেণু বেছে অন্যান্য মাছের রেনু ফেলে দেন। তারা আরো জানান, রেণুর সিজনে সবাই কম বেশি ব্যাপারীদের কাছ থেকে ১০-৩০ হাজার টাকা দাদন এনেছেন। আর বাগদা ও গলদার এসব রেণু তাদের কাছ থেকে ব্যাপারীরা কিনে নিয়ে বিভিন্ন হাত ঘুরে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার পাইকারি আড়তে বেশি দামে বিক্রি করেন। ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, বছরের এপ্রিল, মে ও জুন মাস নদীতে বাগদা ও গলদা রেণু ছড়িয়ে পড়ে। আর কিছু অসাধু জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী থেকে অবৈধভাবে বাগদা ও গলদার রেণু শিকার করেন। তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।