ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নাগালের বাইরে শুঁটকি বাজার

নাগালের বাইরে শুঁটকি বাজার

বেশ কিছুদিন ধরে ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা চলছে। এবার দাম বেড়ে ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে শুঁটকিও। মাসের ব্যবধানে সব ধরনের শুঁটকি কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে শিয়ালখোওয়া বাজারে বিভিন্ন শুঁটকির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের শুঁটকি কেজিতে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। কেজিতে ভেটকি শুঁটকি ১ হাজার টাকা, দেশি চেপা শুঁটকি ১ হাজার ২০০ টাকা, চিংড়ি শুঁটকি ৬০০ টাকা, বালিয়া শুঁটকি ৪০০ টাকা, লইট্টা ১ হাজার ২০০ টাকা, ফেওয়া শুঁটকি ৪০০ টাকা, হিছুটিমলা শুঁটকি ৪০০ টাকা, ছুরি শুঁটকি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাগরে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়া, শুঁটকি তৈরির অন্যতম উপাদান লবণের দাম বৃদ্ধি ও হিমায়িত করে মাছ বিদেশে রপ্তানি করার কারণে শুঁটকির উৎপাদন কমে গেছে। পাশাপাশি আগের তুলনায় পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ার কারণে শুঁটকির দামও এখন বাড়তির দিকে। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে চিংড়ি শুঁটকি ৫৫০ টাকা, বাঁশপাতা সিদল শুঁটকি ৪০০ টাকা ও ৫০ টাকা বেড়ে চেপা শুঁটকি (বড়) ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কালীগঞ্জের শিয়ালখোওয়া বাজার এলাকার শুঁটকি ব্যবসায়ী রফিক মিয়া বলেন, লবণের দাম আগে ৫০০ টাকা ছিল, এখন ৮০০ টাকা। তার ওপর সাগরে মাছ কমে গেছে, হিমায়িত মাছের রপ্তানি বেড়েছে। তাই আমাদের দেশে শুঁটকির উৎপাদন অনেক কমে গেছে। শুঁটকি আমদানি করতে গিয়েও বাড়তি খরচ দিতে হচ্ছে। আমাদের দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিকের মজুরি তো আছেই। সবমিলিয়ে দামটা বেড়েছে। তাই ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে। আরেক ব্যবসায়ী ছলিম মিয়া বলেন, বাজারে মাছের দাম বেশ চড়া। এক কেজি ছুরি শুঁটকি উৎপাদনে পাঁচ থেকে ছয় কেজি মাছ লাগে। আট কেজি লইট্টা মাছ শুকালে এক কেজি লইট্টা শুঁটকি পাওয়া যায়। তার ওপর লবণ আর মজুরি বেড়েছে। তাই দাম বেশি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত