খুলনার কয়রায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪/১ আংটিহারা পোল্ডারে বেড়িবাঁধ নির্মাণ শরু করেছে পাউবো। এতে এলাকার মানুষের রেকর্ডীয় ও কোবলা দলিলের জমি জায়গা ওপর দিয়ে নির্মিত হচ্ছে বাঁধ। স্থানীয়দের অভিযোগ ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি গর্ত করে মাটি কেটে ও বিপুল পরিমাণ গাছপালা উজাড় করা হচ্ছে। এলাকার মানুষের দাবি তাদের জমি জায়গার ওপর দিয়ে বেড়িবাঁধ তৈরি করা হচ্ছে; কিন্তু ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করা হয়নি। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ভুক্তভোগিরা গত শুক্রবার শাকবাড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন হরিহরপুর গ্রামে সমাবেশ ও মানববন্ধন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আংটিহারা পোল্ডারের ৩২ কিলোমিটার নতুন বেড়িবাঁধ নির্মাণে ১ হাজার ১৭২ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ৭টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খন্ড খন্ডভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করে গত ফেব্রুয়ারি মাসে। হরিহরপুর গ্রামের ইউপি মেম্বর হরষিত মন্ডল বলেন, জমির মালিকরা ঠিকাদারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি করলে তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক জিতেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, কাজ শুরুর আগে পাউবো কর্মকর্তারা ও ঠিকাদারের লোকজন জমির মালিকদের বলেছিলেন নদীর চর থেকে মাটি কেটে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। পরে দেখছি নদীর চরের পরিবর্তে ব্যক্তি মালিকাধীন জমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে ব্যাপকভাবে মাটি কাটা হচ্ছে। এ জন্য এলাকাবাসী ভীষণ ক্ষুব্ধ। জমির মালিক সবিতা রাণী বলেন, বাঁধের পাশে তার ৪ বিঘা জমি আছে, সেখান থেকে জোর করে মাটি কেটে বাঁধে ফেলানো হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করা হলে সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগে মামলা দেওয়া হবে বলে ঠিকাদারের লোকজন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ জন্য নিরুপায় হয়ে আমরা এলাকার লোকজন একত্রিক হয়ে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি করছি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমিন অ্যান্ড কোম্পানির সুপারভাইজার আমিনুল ইসলাম জানান, আমাদের অপশনে ক্ষতি পূরণের কিছু নেই। এটি কর্তৃপক্ষের বিষয়। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিকুর রহমান বলেন, ব্যক্তি মামিলকানা জমির ক্ষতিপূরণের বিষয়টি প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।