ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মানিকগঞ্জে বনফুল

স্যান্ডউইচ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি অর্ধশতাধিক

স্যান্ডউইচ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি অর্ধশতাধিক

মানিকগঞ্জে বনফুলের স্যান্ডউইচ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পরেছেন- ডাক্তার, শিক্ষক ও শিশুসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। গত বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরের শহীদ রফিক সড়কে (প্রেসক্লাবের বিপরীতে) অবস্থিত বনফুল অ্যান্ড কোং-এর স্যান্ডউইচ খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পরেন। এরপর ভুক্তভোগীরা মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বসুন্ধরা হাসপাতাল, মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অবস্থার অবনতি হওয়ার কয়েকজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে বলেও জানান ভুক্তভোগীরা। জানা গেছে, সদর উপজেলার পোড়রা এলাকার রিসোর্স সেন্টারে পাঁচদিন ব্যাপী ‘সম্বন্বিত একীভূতিকরণ শিক্ষা’ (সেন্ট)-এর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ জন শিক্ষক। শেষের দিন, দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রত্যেকের জন্য বনফুল থেকে স্যান্ডউইচ আনা হয়। সেটা খাবার পর থেকেই ৩০ জন শিক্ষক, তাদের কয়েকজনের সন্তান, তিনজন প্রশিক্ষক ও স্টাফসহ সবাই অসুস্থ হয়ে পরেন। ডায়রিয়া, বমি, জ্বর ও শরীর ব্যথা বাড়তে থাকলে তারা হাসপাতালে ভর্তি হন। একইদিন কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের কয়েকজন ডাক্তার ও একটি ওষুধ কোম্পানির ১৬ জন স্টাফ বনফুলের স্যান্ডউইচ খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে ৮৮নং মানিকগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মেহেনাজ তানিয়া মুনমুন বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে বনফুলের স্যান্ডউইচ দেওয়া হয়, সেটা খাবার পর থেকেই বমি ও ডায়রিয়া শুরু হয়েছে। মত্ত সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রাউফুন নাহার বলেন, সেন্ট প্রশিক্ষণের শেষের দিনে বনফুল থেকে দুপুরে স্যান্ডউইচ আনা হয়।

সেটা খাবার পর থেকেই আমরা ৩০ জন শিক্ষক, তিনজন প্রশিক্ষক ও স্টাফদের সকলেই অসুস্থ হয়ে পরি। এরপর থেকেই হাসপাতালে ভর্তি আছি। ৮৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, পোড়রা এলাকায় আমাদের পাঁচদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ হয়। শেষের দিন সকলে মিলে স্যান্ডউইচ খাই। সেটা খাবার পর-পরই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি। বনফুল অ্যান্ড কোম্পানির মানিকগঞ্জ শাখার ম্যানেজার মো. নুরুজ্জামান বলেন, তারা আমাদের এখান থেকে স্যান্ডউইচ নিয়েছেন। অসুস্থতার বিষয়টা শুনে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের স্যান্ডউইচের সঙ্গে তারা অন্য জায়গা থেকে আপেল, সন্দেশ ও পানি নিয়েছে। এখন কোনটা খেয়ে অসুস্থ হয়েছে, সেটা বলতে পারব না। এ বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. নূর-ই আলম সোহাগ বলেন, বনফুলের স্যান্ডউইচ খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত