ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

প্রচারণার অভাবে সাড়া নেই বৈকালিক চেম্বারে

প্রচারণার অভাবে সাড়া নেই বৈকালিক চেম্বারে

হবিগঞ্জের মাধবপুর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চেম্বারে সাড়া মিলছে না। গত ৬ মাসে বৈকালিক চেম্বারে একজন রোগীও চিকিৎসা নিতে আসেনি। বৈকালিক চেম্বার চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৪৮ জন রোগী এসেছে। গত বছরের ৩০ মার্চ থেকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বৈকালিক চেম্বার। প্রথম দিকে বৈকালিক চেম্বারে রোগীদের আগ্রহ ছিল। কিন্তু এখন আর রোগী আসছে না। মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন আউটডোরে প্রায় ৪০০-৫০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। দেশের ৩৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাইলট প্রকল্পের আওতায় বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু হয় গত বছরের ৩০ মার্চ। এর মধ্যে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একটি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এএইচএম ইশতিয়াক মামুন জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকালে চিকিৎসকদের বৈকালিক চেম্বারে কনসাল্টটেন্ট ফি ৩০০ টাকা, মেডিকেল অফিসার ২০০ টাকা। বৈকালিক চেম্বারে রোগীদের আসতে হাসপাতালের প্রধান ফটকে একটি ব্যানার টানানো আছে। এছাড়া নিয়মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রচার করা হচ্ছে। বৈকালিক চেম্বারে যে চিকিৎসক বসেন এ মানের চিকিৎসককে বাইরে প্রাইভেট চেম্বারে দেখাতে দ্বীগুণ ফী দিতে হয়। বর্তমানে হাসপাতালে প্যাথলজি টেস্টের পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। বৈকালিক চেম্বারে আসা রোগীদের কথা চিন্তা করে বিকালেও প্যাথলজি বিভাগ চালু রাখা হয়। সেখানে স্বল্প মূল্যে রোগীরা ডাক্তারও দেখাতে পারেন আবার প্যাথলজি টেস্টও করাতে পারেন। বন্ধের দিন ব্যতীত সব দিনই বৈকালিক চেম্বার চালু থাকে। মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঞ্জুরীকৃত ১১ জন কনসালটেন্টের মধ্যে চারজনই গাইনি, এনেসস্থেসিয়া, সার্জারি, শিশু কনসালটেন্ট কর্মরত আছেন। গত বছরের ৫ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার চালু হয়, এখন পর্যন্ত ৪৬টি সিজার হয়েছে। গত সপ্তাহে জেনারেল সার্জারিও চালু হয়েছে। বৈকালিক চেম্বারে এসে রোগীরা এসব সুবিধা নিতে পারেন। কিন্তু এ অঞ্চলের মানুষরা সকালেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে অভ্যস্থ। তাই বিকালে ডাক্তারের কাছে আসতে চায় না। গতকাল বেলা ১১টায় হাফিজুর রহমান নামে এক রোগী এসেছেন পেটের পীড়া নিয়ে। তার কাছে বৈকালিক চেম্বার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে যে বিকালে স্বল্প টাকায় ভালো চিকিৎসা মিলে তা আমি জানতাম না। একইভাবে পারভীন আক্তার নামে এক নারী জানান, তারা জানেই না বিকালে ডাক্তার রোগী দেখেন কি না। বৈকালিক চেম্বার করেন এমন একজন ডাক্তার জানান, রোগী না আসায় ডক্টর চেম্বারেই অলস সময় পার করতে হয়। মাধবপুর উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতাল গড়ে ওঠায় বিকাল বেলায় রোগীরা সেখানেই চিকিৎসা নিয়ে অভ্যস্ত। বৈকালিক চেম্বারমুখী হচ্ছে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত