নাটোর থেকে অপহরণ মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামি মো. সোহানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। এ সময় অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল সকালে নাটোর র্যাব ক্যাম্প থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃত মো. সোহান নাটোর সদর উপজেলার তেগাছি এলাকার মো. কালাম হোসেনের ছেলে। র্যাব জানায়, এক মাস আগে আসামি সোহান বগুড়া জেলার কাহালু থানার বিবির পুকুর এলাকায় বাদীর চাচাতো ভাইয়ের পুকুর সংস্কারের জন্য সেখানে যায়। সেখানে কাজ করতে গিয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী ভিকটিমকে দেখে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে সোহান ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বাদী বিষয়টি জানতে পেরে আসামিকে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেন। এরপর গত ৯ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে বিবিরপুকুর বাজারে বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার সময় আসামি সোহান ও তার সহযোগীরা ভিকটিমকে জোরপূর্বক সিএনজিতে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কাহালু থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর থেকেই সোহান আত্মগোপনে চলে যায়। মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৫ সিপিসি-২, নাটোরে অধিযাচনপত্র প্রদান করেন। র্যাব আরও জানায়, এরপর র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযুক্ত সোহানের অবস্থান শনাক্ত করে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে বগুড়া জেলার কাহালু থানায় হস্তান্তর করা হয়।