ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কয়রায় ভেজাল খাবারে সয়লাব হোটেল-রেস্তোরাঁ

কয়রায় ভেজাল খাবারে সয়লাব হোটেল-রেস্তোরাঁ

উপজেলা সদরসহ ৭টি ইউনিয়নের হাট-বাজারে গড়ে ওঠা হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোয় ভেজাল খাবারে সয়লাব হয়ে গেছে। নোংরা পরিবেশে পচা, বাসি ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। অধিকাংশ হোলেটের ফ্রিজে মাছ, মাংসের পাশাপাশি মিষ্টি, কোমল পানীয়সহ রান্না করা খাবার রাখা হয়। কয়রা বাজার, দেউলিয়া বাজার, উত্তর বেদকাশির কাছারিবাড়ি বাজার, ঘুগরাকাটি বাজার, আমাদি বাজার, জায়গীর মহল বাজার, ঘড়িলাল বাজার, গিলাবাড়ি বাজার, ভান্ডারপোল বাজার, শুড়িখালি বাজারের হোটেলগুলোয় দেখা গেছে অস্বাস্থ্যকর খাবার অনুপযোগী নিম্নমানের খাবার পরিবেশন হচ্ছে বছরের পর বছর। সুন্দরবনে বিষ দিয়ে শিকার করা মাছ, রাতের অন্ধকারে অজ্ঞাত স্থানে জবাই করা অসুস্থ গরু ছাগলের গোশত হোটেলের পাকশালায় নোংরা পরিবেশে রান্না করে দিব্যি পরিবেশন করা হচ্ছে। গত বছর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম তারিক-উজ-জামান কয়রা বাজারের ৩টি খাবার হোটেল, শুড়িখালি বাজারের একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে ভেজাল খাবার পরিবেশনের দায়ে জরিমানা আদায় করেন। দেউলিয়া বাজার মৎস্য আড়তের পাশের হোটেলগুলোয় দেখা যায় মাছের দুর্গন্ধযুক্ত পানির ওপরে গড়ে ওঠা হোটেলে নোংরা পরিবেশে দেদারসে খাবার বেচাবিক্র হচ্ছে। দূর-দূরান্তের ফড়িয়া দুর্গন্ধ ছড়ানোর ওপর বসে ভাত মাছ, মিষ্টি খাচ্ছে। এসব হোটেলে সারা বছর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজালযুক্ত নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হলেও প্রশাসনের ন্যূনতম নজরদারি নেই সেখানে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিট্যারি ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন কাজের কারণে আমার পক্ষে হোটেল রেস্তোরাঁ পরিদর্শন করা সম্ভব হয় না। ভেজাল খাবার রোধে প্রশাসনের তদারকি বাড়াতে জোর দাবি জানান এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত