যশোরে চাহিদার তুলনায় ৩০ হাজার কোরবানির পশু বেশি
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
আর মাত্র এক মাস পর পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষ্যে এরই মধ্যে পশু কেনাবেচা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খামারি, ক্রেতা ও বেপারিরা। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে শেষ সময়ে পশু পরিচর্যা ও প্রস্তুতি নিচ্ছেন খামারিরা। সুস্থ-সবল পশু বাজারজাতকরণ ও খামারিদের নানা রকম পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। যশোর চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের গরু খামারি ঝন্টু বিশ্বাস জানান, কুরবানির জন্য তার খামারে ১৪টি গাভি, ১৪টি ছাগল ও ২৫টি গরু প্রস্তুত আছে। এবার দাম ভালো পাবেন বলে আশাবাদী তিনি। যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি বছর যশোরে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত আছে। এবারের ঈদে জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ৯৬ হাজার ৭১৮টি। চাহিদার তুলনায় ৩০ হাজার ১৩৩টি পশু বেশি প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৩৯ হাজার ৬৭৮টি, ছাগল ৮৬ হাজার ৩৬৫টি ও ভেড়া রয়েছে ৮০৮টি। মোট পশু প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৫১টি। আরেক গরুর খামারি বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া গ্রামের মো. শামীম রেজা বলেন, আমার ৫১টি গরু আছে যার প্রায় সবকয়টি বিক্রি উপযোগী। গরুর খাদ্যের দাম বাড়তি এতে আমাদের উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আশা করি এবার কোরবানির পশুর হাটে ভালো দাম পাব। যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক বলেন, এ বছর যশোরে কোরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি। খামারিরা এখন কোনো অসদুপায় অবলম্বন করে গরু মোটাতাজা করেন না। আমরা প্রতিনিয়ত খামারিদের সঙ্গে বৈঠক করি এবং তাদের সচেতন করি। আমরা পশুদের সময়মতো ভিটামিন ও ভ্যাক্সিন দিই। এছাড়া খামারিদের ওপর সবসময় নজরদারি থাকে। তিনি আরো বলেন, কোরবানির পশুরহাটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে।