শরীয়তপুরে সাপের ডিমসহ বিষধর সাপ উদ্ধার

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

শরীয়তপুরে এ বছর পদ্মা-মেঘনা নদী বেষ্টিত সখিপুর অঞ্চলটির বিভিন্ন বসত বাড়ি থেকে একের পর এক উদ্ধার করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত সোমবার একটি ঘর থেকে সাপের ডিম উদ্ধার করার পরে আবারো একটি লাকড়ি ঘর থেকে ৩০টি ডিমসহ বিষধর সাপ উদ্ধার করেছে এক সাপুড়ে। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় পাঁচ বছর ধরে সখিপুরে সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মাদবর কান্দি গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ি থেকে ডিমসহ সাপটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সখিপুর বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম মাদবরসহ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সখিপুরে সাপের দংশনে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে সখিপুর থানা ভবনসহ থানার আবাসিক এলাকায়ও দেখা গিয়েছিল সাপের উপদ্রব। গত সোমবার বিকালে চরভাগার ঢালী কান্দি গ্রামের দেওয়ান বাড়ির আকবর দেওয়ানের ফসল ও লাকরি রাখার একটি ঘর থেকে ৩৬টি সাপের ডিম উদ্ধার করে সাপুড়ে মিনু ঢালী। এছাড়া গত কয়েকদিন আগে মাদবর কান্দি গ্রামের স্যানেটারি ব্যবসায়ী মোক্তার প্রধানিয়ার একটি লাকড়ি ঘরে সাপ দেখতে পায় এক গৃহবধূ। পরে সাপুড়ে মিনু ঢালীকে খবর দেওয়া হলে গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘর থেকে সাপের ৩০টি ডিমসহ গোখরা জাতের একটি সাপ উদ্ধার করে সাপুড়ে মিনু ঢালী। বাড়ির মালিক মোক্তার প্রধানিয়া বলেন, বাড়ির এক গৃহবধূ লাকড়ি ঘরে সাপ দেখার পরে আমরা সবাই আতঙ্কে ছিলাম। পরে সাপটি ধরার জন্য সাপুড়ে মিনু ঢালীকে খবর দেই। এরপর সাপুড়ে এসে লাকড়ি ঘরের মাটি খুঁড়ে একটি বড় সাপ ও ৩০টি ডিম উদ্ধার করেছে। এখনো ঘরে আরো সাপ আছে কি না বুঝতে পারছি না। সাপুড়ে মিনু ঢালী বলেন, আমি আসার পরে কিছু সময় মাটি খনন করেছি। খননের এক পর্যায়ে আমি ঘরের মধ্যে সাপের ডিম দেখতে পাই। আমি বুঝতে পেরেছিলাম এখানে বড় সাপ রয়েছে।