জেলায় সড়কে সাধারণ মানুষকে অবরুদ্ধ করে চাঁদাবাজি করার সময় ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া পাঁচ যুবককে আটক করা হয়েছে। গত বুধবার দিনগত রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের মধুরোড রেলস্টেশনের পাশে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে তল্লাশির নামে চাঁদাবাজিকালে তাদের হাতেনাতে আটক করে রাখে স্থানীয়রা। গতকাল সকালে এ তথ্য জানান চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, স্থানীয়রা সংবাদ দিলে অটোরিকশাসহ পাঁচ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে লোকজন তাদের ঘটনাস্থলে আটকে রাখে। আটক যুবকরা হলেন জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গোবিন্দিয়ার ইলিয়াস কাজীর ছেলে নাজির হোসেন, শাহরাস্তির উয়ারুকের ফকির বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে মহিবুল ইসলাম, মতলব দক্ষিণের গোবিন্দিয়া পিংড়ার মিলন খানের ছেলে দিদার খান, একই উপজেলার ভাঙ্গারপাড় এলাকার সোহরাব উদ্দিনের ছেলে শরিফুল্লা প্রধানিয়া এবং সদরের মান্দারি এলাকার মৃত ওসমান গনির ছেলে খোকন সর্দার। স্থানীয়রা জানায়, এই পাঁচজন এর আগেও অটোরিকশা নিয়ে এসে গোয়েন্দা পুলিশের নাম ব্যবহার করে তল্লাশির নামে হয়রানি করে প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদাবাজি করেছেন। তারা আজকেও কয়েক জায়গায় লোকজনকে হয়রানি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর মধুরোড রেলস্টেশন এলাকায় এসে তরুণ যুবকদের তল্লাশিকালে অনেকের সন্দেহ হয় এবং তাদের অবরুদ্ধ করা হয়। মধুরোড স্টেশন এলাকার ব্যবসায়ী অলি আহমদ বেপারী বলেন, রেলস্টেশনের ক্যান্টিনের পাশে পাকা রাস্তার ওপর চাঁদপুর-থ-১১৪২২৫ নম্বর প্লেটের সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে ওঁৎ পেতে ছিলেন পাঁচ যুবক। তখন তাদের পরনে ছিল প্রেস অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশন লেখা কটি। তাদের আচার আচরণে সন্দেহ হলে অবরুদ্ধ করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, আটক পাঁচজনের প্রেস অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশন লেখা কটি দেখে সাধারণ লোকজনকে অবরুদ্ধ করেছিল। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, তারা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়েছেন। পরে লোকজন তাদের আটক করে আমাদের জানায়। বর্তমানে অটোরিকশাসহ তারা থানা হেফাজতে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
