ফুলপুরে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ স’ মিল (করাত কল)। অনেকগুলো হাট-বাজার ও বাসাবাড়ি সংলগ্ন হওয়ায় পরিবেশ দূষণে জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু স’ মিল অধিকাংশ সময় সচল থাকায় আশপাশের বাড়িতে বসবাস করা কষ্টকর বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক ফুলপুরের দুই স’ মিল মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। স’ মিল মালিকদের দাবি ভাড়াটিয়া জায়গায় মিল ও কাগজপত্র পেতে জটিলতায় লাইসেন্স করতে পারছেন না। জানা যায়, উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় অর্ধশত স’ মিল রয়েছে। এরমধ্যে ফুলপুর পৌরসভায় ১৭টি, ফুলপুর ইউনিয়নে দুটি, রূপসী ইউনিয়নে ৪টি, বালিয়া ইউনিয়নে ৪টি, বওলা ইউনিয়নে ৫টি, সিংহেশ্বর ইউনিয়নে ৩টি, ভাইটকান্দি ইউনিয়নে ৫টি, রামভদ্রপুর ইউনিয়নে ২টি, পয়ারী ইউনিয়নে একটি, রহিমগঞ্জ ইউনিয়নে ৪টি ও ছনধরা ইউনিয়নে ৩টি রয়েছে। তাদের কারও বৈধ কাগজপত্র নেই। জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ২০০ মিটারের মধ্যে স’ মিল স্থাপন ও রাতে চালানো নিষিদ্ধ হলেও অনেক জায়গায় তা মানা হচ্ছে না। পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতীত স’ মিল পরিচালনা করে পরিবেশ দূষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মেজ-বাবুল আলম, ফুলপুর পৌরসভার বালিয়া রোডের মো. সিদ্দিক ও মো. সোহেল নামে স’ মিল মালিকের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে সাত দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়ে গত ৬ মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। দিউ গ্রামের অভিযুক্ত স’ মিল মালিক মো. সিদ্দিক জানান, ভাড়াটিয়া জায়গায় মিল হওয়ায় লাইসেন্স করতে সমস্যা হচ্ছে। নোটিশ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফুলপুর গ্রীণ রোডের স’ মিল মালিক সাদেকুর রহমান জানান, লাইসেন্স পেতে স্থানীয় ভূমি অফিসের মাধ্যমে জায়গার ক্র্যাচ ম্যাপ, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। আমি লাইসেন্স নবায়ন করতে কয়েক মাস চেষ্টা করেও এসব কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারি নাই। বিষয়টি সহজ হলে সবাই লাইসেন্স নিতে আগ্রহী হবে। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক দিলরুবা আহমেদ জানান, আমাদের কাছে কেউ আবেদন করলে যাচাই বাছাই করে ছাড়পত্র দিয়ে থাকি। মন্ত্রী মহোদয় ১০০ দিনের কর্ম পরিকল্পনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। অবৈধ স’ মিলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।