সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

পিরোজপুরের কাউখালীতে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। ফলে বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকেই আবার বাজার করতে গিয়ে খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। গতকাল বেলা ১১টায় কাউখালী সাপ্তাহিক হাটের দিনে দক্ষিণ বাজারে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। ১ কেজি দেশী পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, গুঁড়া মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৩০ টাকা, রুই মাছ ২৫০ টাকা, চাষের শিং ৫০০ টাকা, কোরাল মাছ ৭০০ টাকা, চিংড়ি মাছ প্রকারভেদে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, ইলিশ মাছ কেজির নিচে ৮০০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকা। কেজির উপরে সাইজের দাম ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফার্মের মুরগি প্রতি কেজি ২০০ টাকা, লাল মুরগি ৩৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৮০ টাকা, দেশীয় মুরগি ৭০০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, খাসি ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিম প্রতি হালি ৫০, দেশী হাঁসের ডিম ৭০ ও মুরগির ডিম ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। মৎস্য ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, বর্তমানে বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। মুরগি ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে অনেক মুরগি মারা গেছে যার কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। বাজার করতে এসে ক্রেতা দিনমজুর খলিল বলেন, আমাদের মতো দিনমজুরদের মাছ-মাংসের কথা ভুলে যেতে হবে, শুধু দেখেই যাব। রায়হান হোসেন বাজার করতে এসে আক্ষেপ করে বলেন, বাজারে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে দিন দিন চলে যাচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই? অধিকাংশ ক্রেতারা বলেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা না হলে এভাবেই সব প্রকার মালামালের দাম দিন দিন বাড়তেই থাকবে। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং জোরদার করছি। কোনো ব্যবসায়ী যদি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অধিক মূল্যে মালামাল বিক্রি করে তাহলে আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।