নেত্রকোনার পূর্বধলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্বধলা বাজারে অস্ত্রের মহড়া, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েলের (মোটরসাইকেল) পূর্বধলা বাজারের জামতলা এলাকার বাড়ির সামনে দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ, বাট্টাবাজারে নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর, মোহাম্মদ মাছুদ আলম টিপুর (আনারস) সমর্থকদের মারধর, দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার রাতের বিভিন্ন সময়ে এসব ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আহত আব্দুর রশিদ নামের একজন বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, পূর্বধলা রাজপাড়া গ্রামের মো. জিন্নত আলী ফকিরের ছেলে মো. সোহান ফকির (১৫), পূর্বধলা রেলস্টেশনের বুকিং সহকারী আব্দুল মমিনের ছেলে মো. আবদুল্লাহ আল ছোহান (১৫) ও বড়রুহী গ্রামের মো. লাল মিয়ার ছেলে মো. কামাল হোসেন (৪০)। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাতেই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ খবিরুল আহসান। এ সময় কালো রঙের একটি টয়োটা-হায়েস মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চণ্ড১৬-১৫৮৮), একটি পালসার মোটরসাইকেল (ময়মনসিংহ-ল ১১-২০৫১), একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল (নেত্রকোনা-হ-১২-৯৭৮৮) জব্দ করা হয়। পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পূর্বধলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে আমাদের সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গত শুক্রবার রাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ইউএনও মোহাম্মদ খবিরুল আহসান বলেন, ২১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পূর্বধলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে যা যা করা দরকার তা করা হবে। আমাদের অভিযান নিয়মিত চলমান থাকবে। সেই সাথে বিজিবিসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিম নিয়মিত মাঠে থাকবে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে টানা দুই মেয়াদের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি (ঘোড়া) নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমানে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তারা হলেন- নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল (মোটরসাইকেল), পূর্বধলা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মাছুদ আলম টিপু (আনারস), আসাদুজ্জামান নয়ন (দোয়াত কলম)। উপজেলায় এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।