মামলা করার এগারো দিন পেরিয়ে গেলেও আসামিরা ঘুরছে খোলামেলা বীরদর্পে। দেখেও না দেখার ভান করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে আসামি পক্ষ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং হুমকিধমকি দিচ্ছে নানাভাবে। এতে বিপাকে পড়েছে মামলার বাদী রশিদুল মাস্টার।
ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী সদর থানার রামনগর ইউনিয়নের চয়ন নগরের মাঝাপাড়ায়। ঘটনার সরেজমিন জানা যায়, গত ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের চয়ন নগর মাঝাপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে আশরাফুজ্জামানের সাথে জলঢাকা উপজেলার পৌর এলাকার উপজেলা সড়কের অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি শিক্ষক রশিদুল ইসলামের কন্যা রেজওয়ানা হাসনাত খুশবুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুক নিয়ে সংসারে টানাটানি শুরু হয়, পরিবার থেকে জোড়া গরু দেওয়া হলেও একটার পর একটা দাবি করতেই থাকে আশরাফুজ্জামান। এ বিষয়ে গত ২৪ মার্চ রাতে নীলফামারী শহরে বিশিষ্ট লোকজনদের নিয়ে বাবুপাড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুম ফকিরের বাড়িতে মীমাংসা করা হয়। কিছুদিন যেতে না যেতে আবারও বিবাদ সৃষ্টি করে।
তার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ নীলফামারী শহরে ৫ শতক জমির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মারডাং করলে গত ২৭ এপ্রিল পুলিশ গিয়ে রামনগরের বারি থেকে খুশবুকে উদ্ধার করে এবং ৭ মে নারী শিশু ও যৌতুক মামলা রুজু হয়। কিন্তু মামলা হওয়ার পরেও আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই নিয়ে বিচলিত মামলার বাদী রশিদুল ইসলাম মাস্টার।
তিনি বলেন, ১নং আসামি আশরাফুজ্জামান, নীলফামারী গণপূর্ত অফিসের উপ-প্রকৌশলী, ইদানীং তার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন প্রকল্প থেকে উৎকোচের টাকা হওয়ার কারণে বেপরোয়া আচরণ করছে, সুষ্ঠু তদন্ত করলে এর সত্যতা পাবে। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন।