অসময়ে ফের নদীভাঙন দেখা দিয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। এর ফলে দৌলতদিয়া ৬নং ও ৭নং ফেরিঘাটে মাঝে বসবাসকারী ৫ শতাধিক পরিবার ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট। তবে ফেরিঘাট রক্ষায় নদী তীরে বালুভর্তি জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ। সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিনে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ঘাটের পাশে পদ্মাপাড়ের অন্তত ২৫ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আগে জিও ব্যাগ স্থাপন করা হলেও রক্ষা করা যায়নি নদী তীর। পাশাপাশি অনেক জায়গাজুড়ে ছোট-বড় ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় ভাঙন হুমকিতে পড়েছে ফেরিঘাটসহ পাশের বাহিরচর গ্রাম। স্থানীয় ৫ শতাধিক পরিবার ভাঙনের আতঙ্কে দিন পার করছেন। এদিকে ভাঙন প্রতিরোধে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বালু ভর্তি জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজ করছে। এদিকে ভাঙনকবলিত আশপাশের অসহায় লোকজন এখনো ভাঙন আতঙ্কে অন্যত্র ঘরবাড়ি ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগে থেকে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলে এত ক্ষতি হতো না। এ সময় অভিযোগ করে কয়েকজন বলেন, বর্ষা মৌসুমে অল্প কয়েক বস্তা জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে দেওয়া বরাদ্দ লুটপাট করবে, কিন্তু সেই জিওব্যাগ কোনো কাজেই আসবে না। বরাবরের মতোই আমরা আবার কিছু পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে গৃহহীন হবো। দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বার পাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, আমরা প্রতি বছর শুধু নদী শাসনের আশ্বাসই পাই। তবে নদী শাসনের কোনো বাস্তবায়ন দেখি না। এদিকে প্রতি বছর নদীভাঙনের কারণে আমরা নিঃস্ব হয়ে আসছি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা বন্দরের উপসহকারী প্রকৌশলী রিশাদ আহম্মেদ বলেন, এরই মধ্যে আমরা ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছি। স্রোতের কারণে নদীভাঙন শুরু হয়নি। নদীর পানি কমে যাওয়ায় কিছু বালুভর্তি জিও ব্যাগ সরে গেছে। যে কারণে নদীপারের কোনো কোনো স্থানে সামান্য ভেঙেছে। বিআইডব্লিউটিএ’র কর্তৃপক্ষ জিও ব্যাগ স্থাপনের তদারকির কাজ করা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে অন্তত ৩ হাজার জিও ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছে। ফেরিঘাটের ভাঙনরোধে যে পরিমাণ জিও ব্যাগ স্থাপন করা প্রয়োজন, তা করা হবে।