ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভান্ডারিয়ায় ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংকট

একীভূত করার প্রস্তাব
ভান্ডারিয়ায় ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংকট

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংকট। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ জনেরও কম। খাতাপত্রে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে বেশ কিছু বিদ্যালয়ে ২০ জনেরও কম শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাস করছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ১১টি বিদ্যালয়ের ৭টি রয়েছে উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নে। ১৩৪ নম্বর পশারিবুনিয়া নাথপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাস করে তবে গতকাল রোববার এ বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় তিনটি শ্রেণিতে মোট ছয় শিক্ষার্থী ক্লাস করছে। চারজন শিক্ষকের স্থলে তিনজন শিক্ষক উপস্থিত রয়েছে। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। প্রধান শিক্ষক প্রবীণ কুমার ভদ্র নিজ চেষ্টায় সম্প্রতি অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন। ১২৪ নম্বর উত্তর পন্ডিম রাজপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাগজপত্রে ৩২ জন শিক্ষার্থী থাকলেও গতকাল রোববার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ওই বিদ্যলয়ে চারটি শ্রেণিতে মোট ১৫ শিক্ষার্থী ক্লাস করছে। বিদ্যালয় ভবনের সংস্কার কাজের জন্য একই শ্রেণি কক্ষে দুইজন শিক্ষক একত্রে পাঠদান করছেন। ৫৬ নম্বর পশারীবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ২২ জন শিক্ষার্থী। এ বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক থাকলেও প্রাক প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য। ১৫৮ নম্বর সি পশারীবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছে ২৬ জন আর শিক্ষক রয়েছে ৪ জন তবে এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য। ১১২ নম্বর মধ্য পশারীবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ বিদ্যালয়ে ৩৩ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৬ জন শিক্ষক রয়েছে। ১২৮ নম্বর নিজ পশারীবুনিয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৮ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৪ জন শিক্ষক। এ বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য, ৫২নং রাজপাশা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৭ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক ৪ জন। ১১৯নং পশারীবুনিয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৪৬ জন, ওই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, সহকারী শিক্ষক সানজিদা খানম দীর্ঘদিন পূর্বে বিনা ছুটিতে আমেরিকা চলে গেছেন। তবে ওই শিক্ষক বেতন-ভাতা তুলছেন কি না তা তারা জানেন না। ১৪৮ নম্বর দক্ষিণ পন্ডিম গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫-২০ জন। ১৫১ নম্বর আতরখালী আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থাও একই ২০ জন, এ বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক থাকলেও প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ১০৭ নম্বর পূর্ব গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাগজপত্রে ৫৩ শিক্ষার্থী থাকলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ৪০-এর কোঠায় বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছে ৪ জন। ২১ নম্বর হেতালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৪৮ জন। শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ৩০-এর কোঠায়। এ বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষকের স্থলে রয়েছে ২ জন। ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের (৪নং ওয়ার্ড) সদস্য মো. ইদ্রিশ আলি মোল্লা বলেন, কাছাকাছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী কম। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. অহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থী বৃদ্ধি করতে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে একাধিকবার মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকগণকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে শিশুদের সঙ্গে এবং এদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষার্থী বাড়াতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওইসব বিদ্যালয় মার্চ করে একীভূত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত