কুমিল্লার তিতাসে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষককে মারলেন শিক্ষার্থী। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার মজিদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ওই শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মজিদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির গণিত পাঠদানের জন্য শ্রেণিকক্ষে যান সহকারী শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান। এ সময় শিক্ষার্থী মো. সোলায়মান ও মাসুম একে অপরের সাথে অশ্লীল বাক্য বিনিময়ের মধ্য দিয়ে কথা কাটাকাটি করছিল। তখন শ্রেণিকক্ষে আসা শিক্ষক আতিকুর রহমান তাদের শান্ত হতে বলেন। কিন্তু সোলায়মান শান্ত না হয়ে স্যারের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং অশ্লীল বাক্য প্রয়োগ করে তাকে তেড়ে আসে। এ সময় শিক্ষক আতিকুর রহমান অভিভাবককে ফোন দেয়ার জন্য পকেট থেকে মোবাইল বের করার সাথে সাথে সোলায়মান তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে স্যারের গলা ধরে তাকে টেবিলের নিচে মাথা ঢুকিয়ে আহত করে। এ সময় আতিকুর রহমানের মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা সোলায়মানকে আক্রমণের জন্য চেষ্টা করলে শিক্ষকরা তাকে শ্রেণিকক্ষে আটকে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করে সোলায়মানকে উদ্ধার করে থানায় নেয়। সোলায়মান নবম শ্রেণির ফাস্টবয়। সে মজিদপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে এবং নবনির্বাচিত অভিভাবক সদস্য মো. জসিম উদ্দিনের ভাতিজা। মজিদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সূত্রধর জানান, হৈ-চৈ হওয়ার পর আমরা নিচ তলা থেকে দোতলায় গিয়ে দেখি আতিক স্যার আহত অবস্থায় পড়ে আছে। একজন শিক্ষার্থী শিক্ষকের সাথে যে আচরণ করেছে তা খুবই দুঃখজনক। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে এর সঠিক বিচার চাই। তিতাস থানার ওসি কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ছেলেটিকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। শিক্ষকরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেই আলোকে পুলিশ কাজ করবে।