নীলফামারীর ডিমলায় আবারো এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে পুরো উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এর আগে গত ১১ মে উপজেলা সদরের ডিমলা থানার ২০০ গজ দূরত্বে একটি বাড়িতে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়। মামলার অন্য দুই আসামিকে ঘটনার দিন গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে মামলার মূল আসামি পাড়ার শ্রী কৈলাশ দাস মঙ্গুর ছেলে শ্রী প্রমিত দাস নীলফামারী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে যশোর জেলার সংশোধনাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। এদিকে গত শুক্রবার সকালে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়িবাড়ী (মাস্টারপাড়া) গ্রামের সোহেল রানা ওরফে মিলনের ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া নাবালিকা শিশুকন্যাকে একই এলাকার আতোয়ার রহমানের বিবাহিত ছেলে এক সন্তানের পিতা মমিনুর রহমান বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ধর্ষণ করে বলে জানায় ভিকটিম শিশুর পরিবার। ঘটনার পর পরেই ধর্ষিতা শিশুকন্যাটির রক্তাক্ত অবস্থায় ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ বিষয় ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবাশীষ রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষিতার পিতা সোহেল রানা ওরফে মিলন বাদী হয়ে মমিনুর রহমানকে আসামি করে ডিমলা থানায় একটি মামলা করেছেন। ধর্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।