কুমিল্লার তিতাসে মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আতিকুর রহমানকে মারধর করা নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সোলায়মানকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বিদ্যালয় মিলনায়তনে বৈঠকের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর আগে গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর ঝগড়া থামাতে গিয়ে শিক্ষার্থী মো. সোলায়মান দ্বারা লাঞ্ছিত হন সহকারী শিক্ষক আতিকুর রহমান। ওই ঘটনায় উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সোলায়মানকে শ্রেণিকক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সম্মতিক্রমে বিষয়টি বিদ্যালয়ে মীমাংসা করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। এদিকে, আগের দিনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবক এবং জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠক শুরু হয়। দীর্ঘ আলোচনা ও পর্যালোচনা শেষে অভিযুক্ত মো. সোলায়মান তার দোষ স্বীকার করায় তাকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মুরাদ, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সদস্য মো. নাছির উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহজাহান, মো. ইউসুফ আলী, মো. মামুনুর রশিদসহ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষকবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তিতাস থানার ওসি কাঞ্চন কান্তি দাশ জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয় নেই। স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার জন্য উভয়পক্ষ একমত হয়েছিল। গতকাল বিদ্যালয়ে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়েছে। অভিযুক্ত মো. সোলায়মানকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।