আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুরের সদরপুরের খামারিরা। দেশীয় খাবারের ওপর ভিত্তি করে এসব খামারে কোরবানির পশু লালন-পালন করা হচ্ছে। বাজারমূল্য ঠিক থাকলে এবারও তাদের স্বপ্ন পূরণের আশা খামারিদের। সরেজমিন কয়েকজন খামারিদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, গো খাদ্যের দাম কয়েক দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের আশঙ্কা কম রয়েছে। তবে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু বাজারে না আসলে হয়তো তাদের পালিত পশু বিক্রি করে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারবেন তারা। কোরবানির পশু খাদ্য তালিকায় রয়েছে খৈল, ভুসি, খড়, সবুজ ঘাস, ভুট্টা গাছের সাইলেন্সার, ছোলা ও প্রাকৃতিক খাবার। প্রাকৃতিক উপায়ে সম্পূর্ণ স্টেরয়েড ও ইনজেকশনমুক্ত বিশুদ্ধ গো-খাদ্যের মাধ্যমে বড় করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করছেন বলে জানিয়েছেন খামারিরা। দেশের দক্ষিণাঞ্চল তথা ফরিদপুরের গরুর চাহিদা রয়েছে সারা দেশজুড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার ৯০৭টি খামারে ছোট-বড় মাঝারি আকারের হোলস্টেইন ফ্রিজিয়ান, জার্সি, ব্রাউই সুইট, নওরেজিয়ান রেড, লাল, ব্রাহামা এবং সাদা হোলস্টেইন ও দেশিসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ২৪৩০টি ষাঁড়, ১৩৫টি গাভি, ১০৮৬০টি ছাগল ও ১৫টি ভেড়াসহ মোট ১৩৪৪০টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।