ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সড়কে চলছে ধান মাড়াই

বিড়ম্বনায় পথচারী
সড়কে চলছে ধান মাড়াই

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় সড়কেই চলছে বোরো ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ। সড়কের বড় অংশ দখল করে এসব কাজ করায় বিড়ম্বনায় পড়ছেন পথচারীরা। একটু পর পর ধানের স্তূপ ও মাড়াইয়ের মেশিন রাখার কারণে সড়ক অনেকটাই সরু হয়ে গেছে। এতে যানবহান চলচলে বিঘ্ন ঘটছে। এমনকি দুর্ঘটনারও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তায় ধান শুকাতে দেওয়ায় ও খড় বিছিয়ে রাখায় পথচারীরাও পড়ছেন বিপাকে। রবিউল ইসলাম নামে এক পথচারী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে সড়কে বিছানো খড়ে পিছলে পড়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক।’ সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বোরো ধানমাড়াই এবং ধান ও খড় শুকানোর চিত্র দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে উপজেলার বানিয়াবাড়ী, পচাবহুলা, ধর্মকুড়া ও আমতুলী সড়কগুলোতে। এই উপজেলার কুলকান্দী বাজার মোড় হতে উপজেলা শহর পর্যন্ত পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধান স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এ যেন এক ধান মাড়াইয়ের উঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা পাশেই শ্যালোচালিত ইঞ্জিন দিয়ে মাড়াই করছেন এসব ধান। মাড়াই শেষে অনেকে ধান বাড়ি নিয়ে গেলেও খড় সড়কের ওপরেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছেন শুকানোর জন্য। শুকানোর পর সড়কের পাশেই খড় স্তূপ করে রেখেছেন অনেকে। এছাড়া কেউ কেউ ভুট্টাও শুকাচ্ছেন সড়কে। এর মধ্য দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রাক, অটোরিকশা, ভ্যান মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরসহ অন্যান্য যানবাহন। অটোরিকশা চালক সমুনসহ আরও অনেকে বলছেন, সড়কজুড়ে ধানমাড়াইয়ের কাজ করছেন কৃষকরা। খড় বিছানো সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়ছেন। অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটছে। মুখশিমলা ব্রিজ এলাকায় পথচারী মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘ধানমাড়াই শেষে কৃষকরা খড় সড়কে ফেলে রাখেন শুকানোর জন্য। বৃষ্টি হলে ওই খড় সড়কে কর্দমাক্ত হওয়ার পরেও সেগুলো সরানো হয় না। পরে পচে গিয়ে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে প্রায়ই দেখা যায়।’ ট্রাকচালক শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘সড়কের দুই পাশে খড়, ধান শুকানো ও মাড়াইয়ের কারণে রাস্তা সরু হয়ে যায়। এতে সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। জ্যামে আটকা পড়লে অনেক সময় ধান অন্য জায়গায় সরিয়ে গাড়ি নিয়ে আসতে হয়।’ এসব অভিযোগের বিষয়ে ধানমাড়াইকারীরা বলছেন, তারা অল্প সময়ের জন্য রাস্তায় ধানমাড়াই করছেন। এতে যানবাহনের সাময়িক একটু ক্ষতি হলেও তাদের অন্য কোনো উপায় নেই। এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক দখল করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করা বেআইনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত