দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছাড়া হয়েছে। তবে এখনো মা মাছ পুরোদমে ডিম ছাড়েনি। হালদা বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, চলমান পূর্ণিমার জোঁ’তে (২০ মে থেকে ২৬ মে) বজ্রবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট পরিবেশে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। একই ধারণায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন নদীর রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা অংশের শত শত ডিম আহরণকারী। হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনটি জোঁ চলে গেছে। আরো একটি জোঁ অর্থাৎ চতুর্থ জোঁ শুরু হবে। পানির গুণগত মান ও পরিবেশ ঠিক আছে, এখন বজ্রসহ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের অপেক্ষা। পূর্ণিমার এ জোঁ’তে না ছাড়লে অপেক্ষা করতে হবে ৩ জুন থেকে ৮ জুন অমাবস্যা ও ২০ থেকে ২৪ জুন পূর্ণিমার জোঁ পর্যন্ত। প্রবীণ ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন বলেন, বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পূর্ণিমার জোঁ’র আজ (বুধ) থেকে শুক্রবারের মধ্যে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। তবে অমাবস্যার জোঁতে ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। গত ৭ মে প্রথম দফায় হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছিল মা মাছ। প্রায় ১ হাজার ৬৬০ কেজি ডিম সংগ্রহ করেছিলেন ডিম আহরণকারীরা। রাউজান ও হাটহাজারী অংশে তিন শতাধিক নৌকা এবং বাঁশের ভেলায় বসে জাল ফেলে কার্প-জাতীয় মা মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করেন পাঁচ শতাধিক ডিম আহরণকারী।