ময়মনসিংহের নান্দাইলে কুকুরের আক্রমণে ইজাজুল ইসলাম নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী ১২টি কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। গত রোববার রাত ও সোমবার কুকুরগুলোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পশ্চিম দিকে চারিআনিপাড়া নদীর পাড় মহল্লা ও আশপাশের এলাকায় হিংস্র কুকুরের পাল মহল্লার কয়েকজনকে কামড়ে গুরুতর আহত করে। এছাড়া গত রোববার ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ইজাজুল নামের এক যুবককে একদল কুকুর কামড়ে তার দেহ ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। ওই যুবক ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে পরিবারের লোকজন মরদেহ বাড়িতে নিয়ে দাফন করেন। এ ঘটনার পর ওই দিন রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা লাঠিসোঁটা নিয়ে কুকুর নিধনে নামেন। ওই দিন রাতে লোকজন বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে পৌর শহরে বিভিন্ন এলাকায় কুকুর নিধনে অভিযান চালান।
গত রোববার রাতে ও সোমবার কুকুর নিধন অভিযানে অন্তত ১২টি কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা করেন তারা। কুকুরগুলোকে পিটিয়ে হত্যার কিছু ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টও করেন। তবে ফেসবুক পোস্টগুলো নিজেরাই ডিলেট করে দেয়। এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হারুনর রশিদ বলেন, ‘কুকুরগুলো কে বা কারা হত্যা করেছে আমার জানা নেই। কয়টা কুকুর হত্যা করা হয়েছে সেটাও জানি না। আমার কাজ হচ্ছে, পশু অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা। কারোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই।’
নান্দাইল পৌরসভার মেয়র রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘কতগুলো কুকুর মারা হয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে যে কয়েকটি কুকুরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে সেগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।’ নান্দাইল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘কুকুর নিধনের বিষয় আমাকে কেউ জানাননি। তবে কুকুরের কামড়ে যুবকের মৃত্যুর পর স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিংস্র প্রকৃতির কুকুরগুলোর বিষয়ে আইন অনুযায়ী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছি।’