বাজারে উঠেছে পাহাড়ি রসালো লিচু

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গাছে গাছে থোকায় থোকায় লিচু শোভা পাচ্ছে। পরিপক্ব হওয়ায় গাছ থেকে পাড়া হচ্ছে। সেসব লিচু নিয়ে ভোর হতেই একের পর এক যন্ত্রচালিত বোট ভিড়ছে রাঙ্গামাটি শহরের সমতা ঘাটে। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন বাগান থেকে লিচু নিয়ে আসছেন বাগানিরা। কীটনাশক মুক্ত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় রাঙ্গামাটির লিচুর চাহিদা রয়েছে। কৃষি অফিসের তথ্য মতে, জেলায় এ বছর ১ হাজার ৮৮২ হেক্টর বাগান থেকে ১৭ হাজার ৪৯৮ টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে হয়েছে। বাজারে উঠতে শুরু করেছে পাহাড়ের রসালো লিচু। এবার ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতিদিনই ঘাট ও বাজারে উঠছে লিচু। লিচুর আকার ও রঙের ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হচ্ছে দাম। বাজার ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ও ব্যবসায়ীদের দর কষাকষি শেষে লিচু নামানো হচ্ছে ঘাটে। সেখানেই শ্রমিকরা খাঁচা বা কার্টনে প্যাকেট করছেন লিচু। আর স্বল্প দূরত্বের ব্যবসায়ীরা অটোরিকশায় করে নিয়ে যাচ্ছেন গ্রীষ্মের এই ফল। চাষিরা জানান, ১০০ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায়। দাম ভালো পাওয়ায় খুশি চাষিরাও। লিচু চাষি শুকর চাকমা বলেন, লিচুর আকার ও রঙের ওপর নির্ভর করেই হাঁকা হচ্ছে দাম। আমি প্রায় ১ লাখ টাকার লিচু এনেছি। এখন পর্যন্ত ৯০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়ে গেছে। বাগানে আরো লিচু আছে। আশা করি এ বছর ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারব। আরেক চাষি ধনপতি চাকমা বলেন, এখন বাগান পরিচর্যার খরচ অনেক বেড়ে গেছে। সরকার যদি আমাদের লোন দিত, তাহলে আরো ভালোভাবে বাগান পরিচর্যা করতে পারতাম। এতে ফলন আরো ভালো হতো।

মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটির লিচু কীটনাশক মুক্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এর চাহিদা রয়েছে। সাড়ে ৩ লাখ টাকার লিচু কিনেছি। এগুলো চট্টগ্রাম নিয়ে যাব। রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, উন্নত ও দেশি জাতের লিচু চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।