নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা

পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকের পোলট্রি ফার্মে হামলা

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নেত্রকোনা প্রতিনিধি

ষষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গত মঙ্গলবার রাতে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার দুলচাপুর গ্রামে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকের পোলট্রি ফার্মে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও পুকুর পাড়ের গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠেছে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। হামলাকারীরা বিজয় মিছিল করে এসে ওই ফার্মে তাণ্ডব চালায়। এতে স্থানীদের মাঝে এক প্রকার আতঙ্ক দেখা দেয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। অভিযোগে জানা যায়, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান নয়নের সমর্থক সাইদুল ইসলামের পোলট্রি ফার্মে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা গত মঙ্গলবার রাতে বিজয় মিছিল করে এত পর্যায় ফার্মের ভেতর প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায় এবং ভাঙচুর করে। এ সময় প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে ফার্মের মালিকের দাবি। স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, পূর্বধলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হচ্ছেন- আসাদুজ্জামান নয়ন (দোয়াত কলম), মো. মাছুদ আলম তালুকদার টিপু (আনারস) ও এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল (মোটরসাইকেল)। নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর আসাদুজ্জামান নয়নের কর্মী-সমর্থকদের সাথে অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মাছুদ আলম তালুকদার টিপু ও এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েলের অভিযোগ, আসাদুজ্জামানকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। দুই প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা ও কর্মী-সমর্থকদের মারপিটের অভিযোগও ওঠে আসাদুজ্জামানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার পূর্বধলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে রাতে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের দুলচাপুর গ্রামে আসাদুজ্জামান নয়নের সমর্থক সাইদুল ইসলামের পোলট্রি ফার্মে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ফার্মের ডিম ভাঙচুর করে, ডিম ও মোরগ নিয়ে যায়। ফার্মের ভেতর পুকুর পাড়ের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলে। এ সময় সাইদুল ইসলাম ফার্মে ছিলেন না। ফার্মের মালিক সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি আসাদুজ্জামান নয়নের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করেছিলাম। এ জন্য নির্বাচনের আগে থেকেই এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েলের মোটরসাইকেলের কর্মী-সমর্থকরা আমাকে নানা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। পরে নির্বাচন শেষে হামলা চালায় তারা। তারা আমার খামারের ৭০০ থেকে ৮০০ মোরগ নিয়ে গেছে। ডিম ভেঙে ফেলেছে, পুকুর পাড়ে কলা গাছসহ বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে ফেলেছে। ডিম বিক্রির প্রায় ৫ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের পর গত মঙ্গলবার রাতে একজন প্রার্থীর সমর্থকের পোলট্রি ফার্মে হামলার ঘটনার কথা শোনা গেছে। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।