ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খালকুলা গ্রামে ফাতেমা খাতুন নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছুরিকাহত হয়েছেন তার ছেলের স্ত্রী বীথি খাতুন। গতকাল ভোরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্ত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আহত নারীকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, খালকুলা গ্রামের অবেদ আলী ও তার ছেলে মেহেদী বিদেশে থাকেন। বাড়িতে থাকেন বউ-শাশুড়ি। এ সুযোগে গত রাতে দুজন বাড়ির দেয়াল ভেঙে ঘরে ঢুকে অবেদ আলীর স্ত্রী ফাতেমাকে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর তার পুত্রবধূ বীথি খাতুনের গলায়ও ছুরিকাঘাত করে কিছু নগদ টাকা নিয়ে অপরাধীরা পালিয়ে যান। এ অবস্থায় বীথি পাশের বাড়িতে গিয়ে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। আহত বীথিকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন উদ্দীন জানান, ধারণা করা হচ্ছে ডাকাতি করতে এসে ফাতেমাকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত দুর্গারপুর গ্রামের বাদল মণ্ডলের ছেলে সাগর হোসেন ও পশ্চিম ঝিনাইদহের ফেলু সরকারের ছেলে সুশান্তকে আটক করা হয়েছে।