পাবনার সাঁথিয়ায় কয়েকটি পরিবারের বাড়ির চারিদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে চার দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে গতকাল সকালে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাঁটাতারের বেড়া ও সিমেন্টের সব খুঁটি অপসারণ করে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পোরাট গ্রামে শাজাহানের বাড়িতে। এ সময় পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান তানজিলকে ধরতে গেলে সে পালিয়ে যায়। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলা পোরাট গ্রামের আশরাফুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসার রাস্তার জায়গা দেয়া ও গ্রাম্য সমাজে তাদের সাথে না থাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে ধোপাদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিলের নেতৃত্বে ঠান্টু, রফিকুল, খলিল, ফিরোজ, নয়নসহ ১০-১২ জনের একটি দল গত চার দিন ধরে শাজাহান, শফিকুল ও নজরুলসহ কয়েকটি পরিবারের বাড়ির চারিদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। এ কয়দিন ধরে ওই পরিবারের শিক্ষার্থীরাসহ পরিবারের লোক কাঁটাতারের ভেতর দিয়ে যাওয়া-আসা করত। শিশুসহ অনেকেরই হাত-পা কেটেছে কাঁটাতারে। হাটবাজারে যাওয়া আসা বন্ধ হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছিল তারা। খবর পেয়ে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাঁটাতারের বেড়া অপসারণ করে অবরুদ্ধদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেন। তানজিলের নেতৃত্বে ১০-১২ জন আবারও শাজাহানদের পরিবারের উপর হামলা করে। পরে পুলিশ আবারও ঘটনাস্থলে গেলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান তানজিল বলেন, এসব বিষয়ে আমি জানি না। এটা সমাজের মানুষ জানেন। আপনারা জেনে দেখেন সমাজের ৭৮ জনের মধ্যে তারা আলাদা। সে সমাজে থাকবে না ভালো কথা। তবে সে ওই মাদরাসার যাতায়াতের রাস্তায় কোনো জায়গা দেয়নি। তাহলে রাস্তা দিয়ে সে বের হবে কেন?। এটা সমাজের লোকজনের কথা। ভুক্তভোগী শাজাহান জানান, আমি এখানে জায়গা কিনেছি ১৪ শতক। আমি রাস্তার জন্য ২ ফুট জায়গা ছেড়ে দিছি। রাস্তার সাথে আমার অনেক গাছগাছালি ছিল সেগুলো কেটে দিয়ে রাস্তার জায়গা দিয়েছি। অথচ তারা জোর করেই বলে আমরা জায়গা দেইনি। মূল কথা হলো আমরা কয়েকঘর তাদের সমাজে থাকব না এজন্য তারা আমাদের একঘরে করে রাখতে চায়। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমি নিজে গিয়ে কাঁটাতারের বেড়া খুঁটি অপসারণ করে তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা তানজিলসহ অন্যান্যদের ধরতে গেলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, সে যেই হোক, এ ধরনের কর্মকাণ্ড করলে তার ক্ষমা নেই। অভিযোগ দিলে মামলা নিবেন বলে জানান তিনি।