আজ ভয়াল ২৫ মে

আইলার ১৫ বছর পূর্তি

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

২০০৯ সালের ২৫ মে। সে দিনের কথা মনে হলে শরীর শিউরে ওঠে। কেঁদে ওঠে উপকূলের মানুষ। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আইলার জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধ ভেঙে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালি, ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, মাছের ঘের, ফসলের মাঠ, খেতখামার, রাস্তাঘাট মুহূর্তের মধ্যে লোনা পানিতে তলিয়ে যায়। জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে ৫৭ জন মানুষ প্রাণ হারায়। খুলনার কয়রা, দাকোপ, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সীগঞ্জ, বাগেরহাটের রামপাল, ফয়লা, জয়মনি, তাফালবাড়ি, বরগুনার পাথরঘাটা, পটুয়াখালির গলাচিপা, দশমিনা, ভোলার নিঝুমদ্বীপ, চরকুকরিমুকরির পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে উপকূলের লাখ লাখ মানুষ একটানা তিন বছর লোনা পানিতে হাবুডুবু খায়। পাউবোর ১৪/১ ও ১৪/২ পোল্ডারের মঠবাড়ি, শিকারীবাড়ি, হারেজখালি, পদ্মপুকুর, পাথরখালির বেড়িবাঁধ, দাকোপের ৩২নং পোল্ডারের নলিয়ান, গুনারি, সুতারখালি, শ্যামগরের ১২নং পোল্ডারের গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আশাশুনি পোল্ডারের বাঁধ ভেঙে লোনা পানিতে সবকিছু বিপর্যস্ত করে দেয়। ঘূর্ণিঝড় আইলার ভয়াবহ তাণ্ডব আজো কয়রার হাজার হাজার মানুষের জীবন জীবিকায় কষ্টের নিদারুণ ছাপ দেখা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ, অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট, মানুষের ঘরবাড়ি এখনো পুরোপুরি মেরামত হয়নি। গৃহহীন অনেকের বেড়িবাঁধের ওপরে ঝুঁপড়ির মধ্যে বসবাস করতে দেখা যায়।