এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দালালমুক্ত করতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ২৯ জনকে আটক করা হয়েছে। দিনাজপুর কতোয়ালি থানা সূত্রে জানা যায় যে, হাসপাতালের কতিপয় কর্মচারী, দালাল আর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারীদের খপ্পরে পড়ে দীর্ঘদিন ধরে অসহায় ও নিরীহ রোগীদের স্বজনরা হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ. পিপিএম সেবার নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দালালমুক্ত করার অভিযানে নামেন।
অসহায় রোগীদের হয়রানির হাত থেকে রক্ষার জন্য পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। গত ১৯ মে প্রথম দিনে ৪ জন মহিলাসহ ২২ জনকে পুলিশ আটক করে। এদের মধ্যে ১২ জন বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। বাকি ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপস) আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮০ ভাগ অসহায় ও দরিদ্র রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন আর দালাল চক্র এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অসাধু কর্মচারীরা তাদের স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে সর্বশান্ত করে। তিনি বলেন হাসপাতালের কোনো স্টাফ জড়িত আছে কি না, সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পৃথক অভিযানে ৭ জন দালালকে আটক করে মামলার আসামি হিসেবে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলে পুলিশ জানান। পুলিশি অভিযানে রোগীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নজরদারী জোরদার করেছেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নার্স ও বয়দের সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।