নোয়াখালীর চাটখিলে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় আহাদ আহমেদ ওরফে হাম্বা নামে এক তরুণকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ভোর রাতে উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আহাদ আহমেদ ওরফে হাম্বা উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারি বাড়ির বাবর হোসেনের ছেলে। হামলার শিকার ওমর ফারুক পাটোয়ারী নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্বশক্রতার জেরে ভোর রাতের দিকে নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ওমর ফারুক পাটোয়ারীকে পাঠান বাড়ির বাসায় ঢুকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে মেম্বারের অনুসারী ও স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আহাদের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায়। একপর্যায়ে তাকে তার বাড়িতে পিটিয়ে গুরুতর আহত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। নোয়াখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মানিক বলেন, আহাদ আগে থেকেই মাদকাসক্ত ও বেপরোয়া ছিল। গতকাল ভোর রাতের দিকে সে মেম্বারের ঘরের দরজায় হাত দিয়ে টোকা দেয়। এরপর মেম্বার ফারুক দরজা খুলতেই তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী আহাদের বাড়িতে গেলে সেখানে সে ছালেহ আহমদ নামে আরও এক ব্যক্তিকে জখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আহাদের বাড়িতে তাকে ধরে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত মেম্বারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। চাটখিল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।