ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাবেক স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

সাবেক স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় আলোচিত মিতু আক্তার হত্যা মামলায় তার সাবেক স্বামী মো. হযরত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অপর ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম এ রায় দেন। হত্যার শিকার মিতু আক্তার উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে।

আসামি মো. হযরত আলী একই উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৩ সালে মিতুর সঙ্গে হযরত আলীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই বছরই তারা হাজীগঞ্জের একটি কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। এরপর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন মিতু। ফলে ২০১৬ সালের ২৫ জুন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মিতু ও হযরত আলীর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। এর মধ্যে হযরত আলী প্রবাসে চলে যান এবং আবার মিতুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে থাকেন। ২০১৭ সালের জুন মাসে দেশে ফিরে পরের মাসে (২৩ জুলাই) মিতুকে নিয়ে চাঁদপুর শহরে ঘুরতে বের হন হযরত আলী। ঘোরাফেরা শেষে মিতুকে বাড়িশে দিয়ে যান তিনি। ওই দিন রাতেই হযরত আলী ও তার বন্ধুরা মিতুদের বাড়িতে খেতে যাবেন বলে জানান। হযরত আলী রাত ৯টার দিকে ফোন কল দিয়ে মিতুকে বলেন, মিতু যেন বাড়ির সামনে থেকে বন্ধুদের এগিয়ে নিতে যান। মিতু এগিয়ে আনতে গেলে হযরত আলী তাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান। একটু পর মিতুর মা রাবেয়া বেগম এগিয়ে গিয়ে এলাকার আবদুর রহমানের ঘরের দক্ষিণে পুকুর পাড়ে মিতুর গলা কাটা মরদেহ দেখতে পান। এ ঘটনায় মিতুর মা রাবেয়া বেগম পরদিন ২৪ জুলাই হযরত আলীকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। মামলাটি তদন্ত করে হাজীগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, মামলায় আদালত ১৯ জনের সাক্ষ্য নেন। আসামি অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক গতকাল এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর ও ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত