নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বামী পরিত্যক্ত এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মো. সেলিম ওরফে সেলিম ভান্ডারি উপজেলার ধানের শীষ গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের ছেলে। গতকাল দুপুরের দিকে গ্রেপ্তার আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গত শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ভিকটিমের সঙ্গে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তার দুই মেয়ের বিয়ে দেয়ার কারণে তিনি বাড়িতে একা থাকতেন। এ সুযোগে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সেলিম ভান্ডারি ওই নারীর ঘরে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে নির্যাতিত নারীর কান্না শুনে তার বাড়ির স্বজনরা এগিয়ে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি অভিযুক্ত সেলিম ভান্ডারির ভাই আলা উদ্দিন কালুকে ভিকটিমের পরিবার জানালে তিনি তাদের হত্যার হুমকি দেয়। পরে পুলিশ গত রোববার বিকালে আসামিকে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে।
চরজব্বর থানার কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় গতকাল সকালে আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
