কিশোরগঞ্জে হাট কাঁপাবে ভাটির কিং
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বিশাল আকৃতির একটি গরু লালন-পালন করছেন কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের সাহেবেরহাটি গ্রামের কৃষক রুস্তম আলী। রুস্তম আলী আদর করে তার পালিত গরুটির নাম রেখেছেন কিং। অনেকেই এই দানব আকৃতির ষাঁড়টিকে ভাটির কিং বলে ডাকে। সাড়ে পাঁচ ফিট উচ্চতার ২৮ মণ ওজনের এই গরুটিকে প্রতিদিন ঘাস-ভুসি-কুড়া ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। গরুটিকে দেখতে প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে প্রচুর লোক ভিড় করেন। গরুটিকে দেখতে আসা বজলুর রহমান বলেন, লোকমুখে রুস্তম আলীর ভাটির কিং গরুটির নাম শুনেছি। তাই আজ দেখতে এলাম। আমাদের হাওর এলাকায় এর আগে কোথাও এত বিশাল আকারের ষাঁড় গরু দেখিনি। গরুর মালিক রুস্তম আলী বলেন, চার বছর আগে ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটিকে কিনেছিলাম গ্রামীণ একটি হাট থেকে। তখন এটি ৮ মাসের বাচ্চা ছিল।
বাচ্চা অবস্থা থেকে ষাঁড় গরুটিকে প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। কৃত্রিম কোনো খাবার দেওয়া হয় নাই। রুস্তম আলী ষাঁড় গরুটিকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করে আসছেন। বর্তমানে এটির ওজন প্রায় ১১২০ কেজি বা ২৮ মণ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। নিকলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্ব গ্রামের মো. দুলাল মিয়া বলেন, রুস্তম আলীর বিশাল আকৃতির গরুটি দেখে এসেছি। ওই গরুটি বিক্রির জন্য ১২ লাখ টাকা দাম হাঁকছেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবু হানিফ জানান, গরুর মালিক রুস্তম আলী সব সময় আমাদের পরামর্শক্রমে গরুটিকে লালন-পালন করে আসছেন।
তিনি কৃত্রিম কোনো খাদ্য তার গরুকে খাওয়াননি, সব সময় প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এ বছর কোরবানি ঈদে আমাদের উপজেলায় মাংসের চাহিদা ৯ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টনের বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টন। এতে আমরা আমাদের মাংসের চাহিদা পূরণ করেও ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন হাটে গরু সরবরাহ করা যাবে।