জালভোট দিতে গিয়ে ফেনীতে আটক ৯
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীর ৩ উপজেলায় বিভিন্ন কেন্দ্রে জালভোট দেওয়ার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ৯ জন আটক হয়েছেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তনি বলেন, দাগনভূঞাঁ উপজেলার গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে মারুফ হোসেন নামের এক যুবক আটক হয়েছেন। এছাড়া ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ জন এবং ফেনী পিটিআই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে আরো ২ জন আটক হয়। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলার ১৪০টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৬৫ বুথে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৪ জন ভোটার রয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শুসেন চন্দ্র শীল (দোয়াত-কলম) ও মনজুর আলম (মোটর সাইকেল), ভাইস চেয়ারম্যান পদে একে শহীদ উল্লাহ খোন্দকার (টিউবওয়েল) ও গোলাম কিবরিয়া (উড়োজাহাজ) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুর্শিদা আক্তার (কলস) ও আরজুমান আক্তার (প্রজাপতি) প্রতীকে প্রার্থী রয়েছেন। দাগনভূঞা উপজেলার ৭২টি ভোট কেন্দ্রের ৫৮২টি বুথে ২ লাখ ৩৯ হাজার ১২২ জন ভোটার রয়েছে। এ উপজেলায় প্রার্থী রয়েছেন চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীকের মো. দিদারুল কবির রতন ও চিংড়ি মাছ প্রতীকের বিজন ভৌমিক, ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীকের মোহাম্মদ মহিউদ্দিন হায়দার ও উড়োজাহাজ প্রতীকের মোহাম্মদ ইউছুফ আলী প্রার্থী রয়েছেন। এর আগে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাবেয়া আক্তার। এছাড়াও সোনাগাজী উপজেলায় ৭২টি ভোট কেন্দ্রের ৫৭৫ বুথে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯০৫ জন ভোটার রয়েছেন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন জহির উদ্দিন মাহমুদ (দোয়াত-কলম), নুর আলম মিস্টার (ঘোড়া), মো. মজিবুল হক (লাঙ্গল) ও মহিউদ্দিন (আনারস)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী সাখাওয়াতুল হক বিটু ও উড়োজাহান প্রতীকের প্রার্থী মো. আইয়ুব আলী হায়দার প্রার্থী রয়েছেন। এর আগে একক প্রার্থী হওয়ায় বিনাভোটে বিজয়ী হয়েছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খোদেজা খানম। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ৩ উপজেলার ২৮৪টি কেন্দ্রে একযোগে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। ভোটগ্রহণের জন্য ৩ উপজেলায় ৬ হাজার ৯৫০ জন কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন।