ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শ্যামনগরে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

* উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানায় * পচন ধরেছে ফ্রিজে রক্ষিত বিভিন্ন দ্রব্যে * গরমে নাজেহাল মানুষ
শ্যামনগরে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে শ্যামনগর। আকাশ থেকে যেন আগুন ঝরছে। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। অতিরিক্ত এই উত্তপ্তরোদে বাইরে তুলনামূলক কম বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষরা পড়ছে বিপদে। অনাহারে জীবন অতিবাহিত হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণির মানুষের। শ্যামনগরের সূর্যের প্রখর তাপে তীব্র গরমে নাজেহাল। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে ঘরের ভেতরেও মিলছে না মুক্তি। আর এই তাপপ্রবাহের মধ্যেই বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি যেন ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’।

বৈদ্যুতিক পাখা না চলায় গরমে আরো কষ্ট পেতে হচ্ছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দাদের। সারাদিনে-রাতে ৩ ঘণ্টাও মিলেছে না বিদ্যুৎ। এই যায় এই আসে বিদ্যুৎ। ফ্রিজে রাখা মালামাল পচে সাবাড়। নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরাও। চিংড়ি ঘেরে পানি তুলতে না পেরে সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ি মরে সাবাড়। কৃষকরা খেতে পানিও দিতে পারছেন না। সেচের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানক্ষেত। সম্প্রতি দক্ষিণ অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে একদিন তাপমাত্রা কম থাকলেও আবার বেড়ে গেছে আগের মতো। এলাকার মানুষের আশা ছিল, হয়তো ঘূর্ণিঝড়ের পরে তাপমাত্রা কমে আসবে; কিন্তু তা হয়নি। বিদ্যুতের লুকোচুরি ও বেড়ে গেছে। গতকাল বুধবার শ্যামনগরে দুপুর ৩টায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। কিন্ত তাপমাত্রা যেন অনেক বেশি মনে হয়। তীব্র গরমের এই সময়ে দফায়-দফায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তারা বলছেন, একদিকে গরম, অন্যদিকে চলছে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। এ কারণে সাধারণ মানুষ ঘরেও টিকতে পারছেন না। উপজেলার কাশিমাড়ী এলাকার বাসিন্দা মাস্টার আলমামুন বলেন, তীব্র গরমে কোথাও গিয়ে শান্তি নেই। বাইরে রোদের ফলে একটু ঘরে থাকব; কিন্তু বিদ্যুতের যে যাওয়া-আসা এতে আরো বেশি ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা। বর্তমানে আমরা নিরুপায়। গোবিন্দপুর গ্রামের খালেক মাস্টার বলেন, ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বেশি টেনশনে আছি। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ গেলে আর আসার খবর নেই। এছাড়া বিদ্যালয়ে পাঠালে গরমে অস্থির হয়ে যায় তারা। তাদের লেখাপড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। বিদ্যুতের যাওয়া আসা নিয়ে শ্যামনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএমণ্ডএর কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীলরা বলছে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন, তাহলে এই বিদ্যুৎ যাচ্ছে কোথায়। বিল ও তো অনেক বাড়ানো হয়েছে, তা হলে আমরা ফল পাচ্ছি না কেন। তবে তাপপ্রবাহ কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানান বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত