নীফামারীর ডিমলায় মোবাইল ফোনে অনলাইন জুয়া আর মাদকে আসক্ত হয়ে নিঃস্ব হাজারো পরিবার। আর এ ব্যাধি বইছে পুড়ো উপজেলাজুড়ে। তবে ডিমলা উপজেলা সদরের থানা এলাকায় বেশি। দু’অপরাধের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা কে কার আগে এই অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে। ডিমলা থানা পুলিশের নীরব ভূমিকায় বেড়েই চলছে বিভিন্ন কৌশলে অপরাধের মাত্রা। মাদক আর জুয়ার টাকা জোগাতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে শিশু-কিশোর হতে শুরু করে বিভিন্ন বয়সিরা। সম্পৃতি (গত ১১ ও ১৭ মে) এ উপজেলায় পরপর দুটি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। চাঞ্চল্যকর ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার আসামিকে ও ১৪ বছরের কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি ডিমলা থানা পুলিশ। এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পর লোক দেখানো অভিযানে নামে ডিমলা থানা পুলিশ। প্রশাসনিক দায় এড়াতে দুই মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করলেও তুলনামূলক কোনো ভূমিকা নেই তাদের। মাদক ব্যবসায়ীরা দিব্যি তাদের ব্যবসা পরিচালনা করেই যাচ্ছে, উপজেলা সদরের থানা এলাকার বেশকিছু স্পটে। আর অনলাইন জুয়াড়িরা ঘরে বসেই বা কোনো গোপন জায়গায় জুয়া খেলছেই। ডিমলা উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি স্পটে প্রকাশ্যে বিভিন্ন দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁয় দলবেঁধে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জুয়া খেলায় মেতে উঠেছে। প্রশাসনিকভাবে কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পাল্লা দিয়ে চলছে এই অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রতিযোগিতা। অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হওয়ার কারণে অনেক ব্যবসায়ী ও তার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথে দাঁড়িয়েছে। অনেকে নিরুপায় হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে শ্রমিকের পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন। অনেকে আবার জায়গা জমি ভিটে মাটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। অনেকে জুয়া ও নেশার টাকা জোগাতে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে খুব সহজেই জড়িয়ে পড়ছেন। ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশষি রায় থানা পুলিশের নিরব ভূমিকার কথা অস্বীকার করে বলেন, ধর্ষণের মামলার আসামি গ্রেপ্তার হয়নি এটি সত্য, ডিমলায় মাদক বিক্রি হচ্ছে এটাও সত্য। তবে অপরাধীদের ধরতে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।