শেরপুরে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত

প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শেরপুরে খামারিরা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কোরবানির ঈদে জেলায় ৫১ হাজার ২২৫টি পশুর চাহিদা থাকলেও ৮৩ হাজার ৮০২টি পশু মোটাতাজা করে প্রস্তুত করা হয়েছে। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়েও খামারিরা বাড়তি পশু জেলার বাইরে বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫টি উপজেলার ছোট বড় প্রায় ১৩ হাজার ৭৩১ জন খামারি রয়েছেন। এ ছাড়াও অনেক পরিবার ব্যক্তিগতভাবে গরু, মহিষ ও ছাগল পালনের সঙ্গে জড়িত। এবার কোরবানির জন্য শেরপুর জেলায় ৫১ হাজার ২২৫টি পশুর চাহিদা থাকলেও প্রস্তুত হয়েছে ৮৩ হাজার ৮০২টি পশু। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩২ হাজার বেশি। পশুগুলো হলো- ৪০ হাজার ২৭০টি ষাঁড়, ২ হাজার ৮৬৫টি বলদ, ১৩ হাজার ৭৯৪টি গাভি, ১ হাজার ৩৮৬টি মহিষ, ২২ হাজার ৩৯টি ছাগল, ৩ হাজার ৪৪৮টি ভেড়া। প্রস্তুত করা এসব পশু নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে হাট বাজারগুলোতে বিক্রি হবে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানুল হক ভূঁইয়া বলেন, এ বছর শেরপুরে কোরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি। ফলে কোরবানির পশুর জন্য কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না। আমরা প্রতিনিয়ত খামারিদের সঙ্গে বৈঠক করি এবং তাদের সচেতন করি। সরেজমিন জেলার কয়েকটি খামারে গিয়ে দেখা যায়, যেসব গরু কোরবানিতে বিক্রি করা হবে সেসব গরুকে পৃথক করে রাখা হয়েছে। নেওয়া হচ্ছে বাড়তি যত্ন। ওই গরুগুলোকে নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকেও নেওয়া হচ্ছে নিয়মিত খোঁজখবর। খামারি বিল্লাল হোসেন বলেন, কোরবানি উপলক্ষ্যে আমার খামারে ২০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব গরুর নিয়মিত যত্ন নেওয়া হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছে। তবে গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এসব গরুর পেছনে বেশি খরচ হয়েছে। এখন বাজারদর নিয়ে শঙ্কায় আছি। কৃষক নেতা শাহ জাহান তালুকদার বলেন, অল্প সময়ে গরু মোটাতাজা করতে গরুকে সাধারণত হরমোন, ডেক্সামিথাজল, ডেকাসন, স্টোরেয়েড ইত্যাদি জাতীয় বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ানো হয়। তবে এবার খামারিরা নিজস্ব উদ্যোগে এ বিষয়ে সতর্ক থেকেছেন। আর প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রচেষ্টায় প্রায় সকল খামারিই প্রাকৃতিক উপায়ে খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করেছেন। আর জেলার চাহিদা মিটিয়ে আমরা গরু রপ্তানি করতে পারব। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ডা. রেজওয়ানুল হক ভূঁইয়া জানান, কোরবানির পশুকে অসদুপায়ে মোটাতাজা না করার জন্য আমরা বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করেছি। আমাদের জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩০ হাজার পশু বেশি প্রস্তুত আছে। তাছাড়া বিভিন্ন ভেটেরিনারি ফার্মেসিতে নিম্নমানের ওষুধসামগ্রী না রাখার বিষয়ে তদারকি করা হচ্ছে। তবে কয়েক দফায় গোখাদ্যের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে খামারিদের। আমরা খামারিদের প্রস্তুত করা পশুকে স্টেরয়েড হরমোন ও কেমিক্যাল না খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছি।