পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে জমে উঠছে পশুর হাট। আর এ সময়কে কাজে লাগিয়ে বেড়েছে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা। শিয়ালমারী পশু হাটে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের প্রধান টার্গেট গরু ব্যবসায়ী। সাপ্তাহিক পশুহাটে তাদের খপ্পরে গরু ব্যবসায়ীরা খোয়াচ্ছেন নগদ টাকা। গতকাল অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন শমসের আলী নামের এক গরু ব্যবসায়ী। তিনি আলমডাঙ্গার জোড়াগাছী গ্রামের হারান মণ্ডলের ছেলে। জানা গেছে, শমসের আলী গরু কেনার জন্য বাড়ি থেকে শিয়ালমারী পশু হাটের উদ্দেশে রওনা দেন। চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে জীবননগর সড়কে লোকাল বাসে করে তিনি আসছিলেন। পথিমধ্যে তাকে অচেতন করে সটকে পড়ে অজ্ঞান পার্টির সদস্য। অসুস্থ অবস্থায় তাকে শিয়ালমারী পশু হাটে নামিয়ে দিয়ে বাসটি চলে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করান। এর আগে একইভাবে গত ২৩ মে দুপুরে শিয়ালমারী পশুহাটে গরু বিক্রি করে বাসে বাড়ি ফেরার সময় অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের খপ্পরে পড়ে আনুমানিক নগদ ৩ লাখ টাকা খুইয়েছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাকলেদাঁড়ি গ্রামের সানোয়ার হোসেন। তিনি একই গ্রামের ফেলা মণ্ডলের ছেলে। তার আগে গত ১৬ মে শিয়ালমারী পশু হাটে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের খপ্পরে পড়ে নগদ ৪ লাখ টাকা হারিয়েছেন ফরিদপুর সদর থানার বসন্তপুর গ্রামের আবেদ শেখের ছেলে ইউনুস শেখ। গরু ব্যবসায়ী ইউনুস শেখ ফরিদপুর থেকে গরু কেনার উদ্দেশ্যে শিয়ালমারী হাটে পৌঁছানোর পর তিনি হাটের একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খান। এরপর অসুস্থবোধ করলে লোকজন তাকে হাটের মসজিদে গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলেন। পরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার কোমরে থাকা কাপড়ের ব্যাগে রাখা নগদ ৪ লাখ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। জীবননগর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান জানান, হাটে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে তারা হাটের বাইরে অঘটন ঘটাচ্ছে। বাসের ওপর নজরদারি বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।